দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অন্য শক্তিধর দেশগুলোর মতো ভারত আমাদের নির্বাচন নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করেনি।
তারা বলেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন বাংলাদেশ করবে। ভারত পাশে ছিল বলে অনেক শক্তিধর দেশও আমাদের নির্বাচন নিয়ে অশুভ খেলা খেলতে পারেনি। শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্য মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
কেন ভারতবিরোধী মনোভাব বাড়ানো হচ্ছে-এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইন্ডিয়া আউট’ বলে ক্যাম্পেইন চালিয়ে বৈরিতা সৃষ্টি সমীচীন নয়। আন্দোলন আর নির্বাচনে ব্যর্থরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এধরনের তৎপরতা চালায়।
তিনি বলেন, ২১ বছর যারা শাসন করেছিলো, এই সময়ে তারা ভারতের সঙ্গে বৈরিতা তৈরি করেছে। যেগুলো দ্বিপক্ষীকভাবে শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করে সমাধান করা যায়, সেগুলোও তারা করেনি। শেখ হাসিনার সময় সীমান্তসহ নানা সমস্যা আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্কের অনেক সন্দেহের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন। তিস্তা চুক্তিরও ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে, ধৈর্য ধরতে হবে সমাধান হবে। তিক্ততার সৃষ্টি করে এসব সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার সিন্ডিকেট সমর্থন করে না। যে বা যারাই এই সিন্ডিকেট করুক কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি যন্ত্রণা প্রধানমন্ত্রী অনুভব করেন। তার ওপর আস্থা রাখুন। শেখ হাসিনা ৩ ঘণ্টা ঘুমান। বাকি সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ে ভাবেন, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে, তা নিয়ে ভাবেন।
সনাতন ধর্মের মানুষের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, মাইনোরিটি ভাবনাটাই দাসত্বের দোসর, এটাকে ভেঙে ফেলতে হবে। নিজেদের মাইনরিটি কেন ভাববেন! এদেশের ইতিহাস, অর্জন সব বাঙালির অবদান। কিছু লোক তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জায়গা মন্দিরের জায়গা দখল করে কষ্ট দেয়। এরা যদিও রাজনৈতিক পরিচয়ে থাকে, আসলে এরা দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্তরা আমাদের অভিন্ন শত্রু। এদের প্রতিরোধ করতে হবে, কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক বাসুদেব ধর, সদস্য সচিব সাংবাদিক সন্তোষ শর্মা। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার। বিকাল ৩টায় শুরু হয় কাউন্সিল অধিবেশন। সম্মেলনে সারাদেশ ৭৫টি সাংগঠনিক জেলার প্রায় চার হাজার কাউন্সিলর অংশ নিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ এএজে