বিশ্বের অনেক দেশে ফুটবল মাঠে ফিরলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কায় দর্শক ফেরেনি। এই কঠিন সময়ে দর্শক ফেরানোর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের নির্দেশনা মেনে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ধারণক্ষমতার এক তৃতীয়াংশ দর্শক ফেরানোর ‘প্রাথমিক সিদ্ধান্ত’ নিয়েছে বাফুফে।
আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। করোনাভাইরাসের থাবায় গত মার্চ থেকে বন্ধ থাকা ফুটবল এই ম্যাচ দিয়েই মাঠে ফিরবে।
লা লিগা, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, সেরি আ, লিগ ওয়ান ও বুন্ডেসলিগা-ইউরোপের এই সেরা পাঁচ লিগ চলছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই, উয়েফা নেশন্স লিগের অধিকাংশ ম্যাচে দর্শকরা পাচ্ছেন না মাঠে প্রবেশের অনুমতি। লা লিগা মাঠে দর্শক ফেরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে বলে খবর এসেছে গণমাধ্যমে।
এমন বিরুদ্ধে স্রোতের মধ্যে ফুটবল ও দর্শক দুটোই একসঙ্গে মাঠে ফেরানোর ভাবনা বাফুফের। এ নিয়ে রোববার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসেছিল দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। শঙ্কা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের নির্দেশনা মেনে সবকিছু বাস্তবায়ন করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
“এ ব্যাপারে ফিফার তিন ধরনের প্রটোকল রয়েছে-মাঠে কোনো দর্শক থাকবে না, গ্যালারি ভরা দর্শক থাকবে এবং সীমিত দর্শক থাকবে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা যেহেতু প্রায় ২৬ থেকে ২৭ হাজার, আমরা চাচ্ছি সামাজিক দূরত্ব মেনে সর্বোচ্চ এক তৃতীয়াংশ দর্শকের জন্য আট বা নয় হাজার টিকেট ছাড়ব।”
“যেহেতু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ইনডিভিজ্যুয়াল সিটিং ক্যাপাসিটি নেই; চেয়ার নেই, গ্যালারি সিস্টেম রয়েছে, সেহেতু মার্কিং করে ন্যুনতম দুই থেকে তিন ফুট সামাজিক দূরত্ব মেনে দর্শকরা বসতে পারে, সে বিষয়গুলো আমরা প্রস্তাবনায় রেখেছি। এ ব্যাপারে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাদের আরও কোনো পর্যবেক্ষণ থাকলে আমাদের জানাবেন বলে জানিয়েছেন।”
মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে চাইলে দর্শকদের মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব অনুযায়ী বসার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন সোহাগ।
“যারা মাঠে খেলা দেখতে আসবেন, তাদের মাস্ক পরে আসা, তাপমাত্রা পরিমাপ করা, সামাজিক দূরত্ব মেনে নির্দিষ্ট জায়গায় বসে খেলা দেখা-এগুলো আমরা নিশ্চিত করব। আরও তিন-চারটি মিটিংয়ের পর দর্শক ফেরানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।”
খুলনা গেজেট/এএমআর