রাজধানীর বেইলি রোডসহ সব আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়।
সেই সঙ্গে রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার ছাড়াও হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রোববার হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা যান। এর মধ্যে ৪৩ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি তিনজনের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি। এ ঘটনার পর থেকেই আলোচনায় আসে রাজধানীর আবাসিক স্থাপনায় অবস্থিত রেস্টুরেন্টগুলো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় এইসব রেস্টুরেন্টকে জলজ্যান্ত বোমা বা ব্রয়লার হিসেবে তুলনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকার সাতমসজিদ রোডে অবস্থিত গাউসিয়া টুইন পিক এর স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ ভবনটিতে সাধারণ মানুষকে না যাওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন। অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় নিজেদের সুরক্ষার জন্যেই তিনি এ আহবান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বলেন, যতদূর জানি এভবনের অগ্নীনিরাপত্তার অবস্থা ক্রমান্বয়ে ভয়াবহভাবে অবনমিত করা হয়েছে। ফায়ার ডোর খুলে ফেলা হয়েছে, ফায়ার স্টেয়ার স্টোররুম হয়েছে, যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম