জামিয়া ইসলামিয়া উসওয়ায়ে হাসানা মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্রদের প্রথম পুনর্মিলনী গত মঙ্গলবার নগরীর রায়ের মহল জলিল স্মরনীর মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন `আবনায়ে উসওয়ায়ে হাসানা’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শায়খুল হাদিস মুফতি জিহাদুল ইসলাম। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র মোঃ আনিছুর রহমান বিশ্বাস।
মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা মুফতি জিহাদুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল সহীহ শুদ্ধ রাসূল (সাঃ)’র যে দ্বীন, এই দ্বীন আমরা জাতির সামনে পেশ করা। আত্ম মানবতার সেবায় উলামায়ে একরামের অগ্রণী ভূমিকা কি হতে পারে তার জন্য আমি একটা প্লান করেছিলাম। দ্বীনের সহিহই কথাগুলো মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছানোর জন্য “উসওয়ায়ে হাসনা” নামে একটা পত্রিকা বের করি। তখন আমার ছাত্র কম থাকায় মনে যেভাবে চেয়েছিলো ওইভাবে পারিনি। এখন আমার মাদ্রাসা থেকে গত ১৪ বছরে ৫ শতাধিক ছাত্র মুফতি হয়েছে। সব মিলিয়ে হাজার খানেক মুফতি, মাওলানা সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলামের খেদমত করছে। তাদের মাধ্যমে আত্ম মানবতার সেবা করতে চাই। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে মাদ্রাসার ১ম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শুরু করলাম।
আয়োজন সম্পর্কে আবনায়ে উসওয়ায়ে হাসনা’র উদ্যোক্তা হাফেজ মুফতি মোঃ আব্দুল মালেক বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী পুনর্মিলনী। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গত ১৪ বছরে মাদ্রাসাটি থেকে এলেমের সর্বোচ্চ ডিগ্রী মুফতি পাস করে যারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলামের খাদেম হিসেবে কাজ করছেন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তাদেরই আমরা একত্রিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। মাদ্রাসাটি থেকে এ পর্যন্ত ৫০০ শতাধিক মুফতি পাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামের খাদেম হিসেবে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, মাদ্রাসা থেকে পাস করা এক একজন মুফতি মানে এক একজন ফারাজ। একেক জন মুফতি ১টি মসজিদ, ১টি এলাকা, ১টি জনগোষ্ঠী পরিচালনা করছেন। একেক জন মুফতি বা ফারাজকে যদি একটা জনগোষ্ঠী ধরা হয় তখন ঐ এলাকার জনগোষ্ঠীর কানে হকের আওয়াজ পৌঁছাবে।
খুলনা গেজেট/কেডি