আবারও মিডিয়ায় শিরোনাম হয়েছে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের দুর্ঘটনা। ইটবাহী ট্রাকের সঙ্গে ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন নারী-শিশুসহ ৫ জন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় খর্নিয়া ইউনিয়নের আংগারদোহা কালভার্ট এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে গুরুতর আহত আরও ২ জনকে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে দুর্ঘটনার এই খবর নতুন নয়! কিছুদিন পর পর এমন খবর মিডিয়ায় গুরুত্বসহকারে উঠে আসে। কর্তৃপক্ষ যে বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত নয়, তাও বলা যাবে না। কারণ দুর্ঘটনা কমাতে কিছু পদক্ষেপ ইতিমধ্যে দৃশ্যমান। তারপরও সুফল কতটুকু মিলেছে তা পর্যালোচনার দাবি রাখে।
আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) যখন মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটে তার ৩/৪ ঘন্টা আগে আমি ঐ মহাসড়ক দিয়ে ডুমুরিয়া থেকে খুলনায় ফিরি ব্যক্তিগত গাড়িতে। এই স্বল্প দূরত্বে আমাদের গাড়িকে অন্তত তিন বার সম্ভাব্য বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন মহান আল্লাহ। প্রতিবারেই বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাক, বাস ও পিকআপ এর জন্য দায়ি। তবে চালকের বিচক্ষণতায় নিরাপদে খুলনা পৌঁছেছি।
আমার কাছে মনে হয়েছে, মহাসড়কে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ মূলত: কিছু চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং কমগতির যানবাহন বাম পাশের লেন মেনে না চলা।
খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ককে যদি নিরাপদ না করা যায় তাহলে স্বজনহারাদের কান্না থামানো যাবে না। সড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে না পারলে কোন উদ্যোগই সফল হবে না। চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো থেকে বিরত রাখতে এবং তুলনামূলক কমগতির বাহনকে সড়কের বাম পাশের লেনে চলাচলে বাধ্য করতে হবে। আর এটা নিশ্চিত করা কি খুব কঠিন কাজ ?
লেখক : উপ পরিচালক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা