পাকিস্তানের আগামী সপ্তাহের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা এক সংসদ সদস্য প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। দেশটির আসন্ন নির্বাচন ঘিরে জঙ্গি সহিংসতা বৃদ্ধির আশঙ্কার মাঝেই বুধবার আফগানিস্তানের সীমান্ত লাগোয়া উপজাতি অধ্যুষিত বাজুর জেলায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বাজুর জেলা পুলিশের কর্মকর্তা রশীদ খান বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন গুলিতে নিহত রেহান জায়েব খান। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। বাজুর জেলায় রেহান জায়েব খান ও তার চার সহযোগীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
তিনি বলেন, পরে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রেহান জায়েব খান ও তার সহযোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই নির্বাচনী প্রার্থী। এ ছাড়া তার চার সহযোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পিটিআইয়ের প্রাদেশিক সভাপতি আতিফ খান বলেন, রেহান জায়েব খান পার্টির সদস্য হলেও পিটিআইয়ের আনুষ্ঠানিক সমর্থনে ওই এলাকায় অন্য প্রার্থী রয়েছেন। ব্যালটে দলীয় প্রতীক না থাকায় দেশটিতে কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী খানের দলীয় সমর্থন আছে বলে দাবি করছেন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পিটিআইয়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সমর্থনে ব্যাপক দমন অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। নির্বাচনের আগে দলটির শত শত সমর্থক, দলের সদস্য এবং ইমরান খানের প্রধান সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানের রাজনীতিতে কর্তৃত্ব চালিয়ে আসা সামরিক বাহিনী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এ নিয়ে গত কয়েক দিনে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উপজাতি অধ্যুষিত ওই এলাকায় পিটিআইয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট দ্বিতীয় প্রার্থী হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন। বুধবারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করেনি। বাজুর জেলা পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে অবস্থিত হওয়ায় উভয়পাশে স্থানীয় বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।
খুলনা গেজেট/ এএজে