দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে জটিল ধরণের এক ফরম্যাট উপহার দিলো আইসিসি। যুব বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষে কাল থেকে শুরু হচ্ছে। দলগুলোর কাছে আগেই হিসেব চলে গেলেও আজই পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি। এবারের সুপার সিক্সে প্রথাগত ছয় দল নয়, বরং বারো দল নিয়ে হবে বিশ্বকাপের সুপার সিক্স।
এবারের সুপার সিক্সে থাকবে গ্রুপিং সিস্টেম। পয়েন্টের হিসেবেও আছে নতুন নিয়ম। ছয় দলের একেক গ্রুপে প্রতিটি দল ম্যাচ খেলবে দুইটি করে। এই দুই গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে দল পাবে সেমি-ফাইনাল খেলার সুযোগ।
এবারের ফরম্যাট অনুযায়ী, প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা তিনটি দল পাবে সুপার সিক্স পর্বের টিকেট। সেখানে ‘এ’ ও ‘ডি’ গ্রুপের দলগুলো থাকবে একটি গ্রুপে। আরেক গ্রুপে থাকবে ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রুপের দলগুলো। এই পর্বে নিজ গ্রুপ বাদ দিয়ে অন্য গ্রুপের দুই দলের বিপক্ষে খেলবে দলগুলো। এমনকি প্রতিপক্ষ গ্রুপের সমপর্যায়ের দলের বিপক্ষেও খেলতে হবে না তাদের। যেমন ‘এ’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় হয়ে উঠে আসা বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ‘ডি’ গ্রুপের ১ম এবং ৩য় দল।
সুপার সিক্সে ভারত এবং পাকিস্তান একই গ্রুপে থাকলেও দেখা হচ্ছে না। ‘এ’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন ছিল ভারত আর ‘ডি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ছিল পাকিস্তান। সমপর্যায়ের দলের খেলা না থাকায় দেখা হচ্ছে না দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের। অন্যদিকে বাংলাদেশের দুই ম্যাচ নেপাল এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে। ৩১ জানুয়ারি প্রতিপক্ষ নেপাল আর ৩ ফেব্রুয়ারিতে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।
৩১ জানুয়ারি নেপাল বনাম বাংলাদেশ
৩১ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড
৩১ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ে বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
২ ফেব্রুয়ারি ভারত বনাম নেপাল
২ ফেব্রুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম অস্ট্রেলিয়া
২ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম শ্রীলঙ্কা
৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ
৩ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড বনাম আয়ারল্যান্ড
৩ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ড বনাম জিম্বাবুয়ে
বাংলাদেশের সুপার সিক্সের গ্রুপে পয়েন্টের ভিত্তিতে এগিয়ে আছে ভারত এবং পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বের জয়-পরাজয়ের ভিত্তিতে ঠিক হয় ক্যারি পয়েন্ট। প্রথম পর্বে বাংলাদেশ জিতেছিল আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র সুপার সিক্সে না উঠায় এই পয়েন্ট ক্যারি হচ্ছে না। অর্থাৎ সুপার সিক্সে ২ পয়েন্ট নিয়ে শুরু করবে মাহফুজুর রহমান রাব্বিরা।
খুলনা গেজেট/এনএম