কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তকমেলার প্রেস কর্ণারে ভিরাসত আর্ট পাবলিকেশন কলকাতার সিনিয়র সাংবাদিক, কবি ও লেখক মোহাম্মদ সাদউদ্দিনের “বাবলার বিল ” উপন্যাস আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করল। এ নিয়ে কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তকমেলায় লেখকের পরপর দুটি উপন্যাস প্রকাশিত হল।
এছাড়াও ভিরাসত আর্ট পাবলিকেশন আনুষ্ঠানিকভাবে ইংরেজি বাংলা মিলে মোট ৫টি বই প্রকাশ করে। তার সঙ্গে কর্তৃপক্ষ আরও ৮ বইয়ের নাম উল্লেখ করেন। প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিক প্রকাশিত ৫টি বই হল মোহাম্মদ সাদউদ্দিনের “বাবলার বিল”, সৌমিতা মিত্রের “প্রেক্ষিত পার্বত্য চট্টগ্রাম”, আলোক মুখোপাধ্যায়ের “গীতা রহস্য ভেদ”, কৃষ্ণেন্দু পালের “ম্যাপিং মতুয়া” ও পার্থপ্রতীম রায় সম্পাদিত “চিজেল আণ্ডার দ্যা হান্টার স্যাডো”। যে বিশিষ্ট জনেরা বইগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন তাঁরা হলেন যথাক্রমে দেবকুমার সোম, পার্থসারথী মুখোপাধ্যায়, ড: প্রহ্লাদ রায়, ড: তপন কুমার দাস, মৃণাল ঘোষ, সঞ্জয় ব্যানার্জি ও তাপস সরকার। বইগুলোর লেখকদের নিজ নিজ বই নিয়ে এদিন আলোচনা করেন।
ভিরাসতের এমডি বসু আচার্য বলেন, ভিরাসত কোনোদিন টাকা দিয়ে বই ছাপে না। বিষয় ও লেখার গুণ দেখে বই ছাপে।
এদিকে কলকাতা পুস্তক মেলার ১২৮ নম্বর স্টল পূর্ণ প্রতিমা প্রকাশনীর সামনে বিশিষ্ট লেখক ও কথা সাহিত্যিক সফিউল ইসলাম পিটারের “শেষ ঠিকানা ” ও কবি সুজাতা সাহার “পরশ পাথরের সন্ধানে” কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হল। দুটি পুস্তকের প্রকাশক পূর্ণ প্রতিমা।
আনুষ্ঠানিক প্রকাশ অনুষ্ঠানে ছিলেন কবি যশোধরা রায় চৌধুরী, সাংবাদিক মোহাম্মদ সাদউদ্দিন, পূর্ণ প্রতিমা প্রকাশনীর কর্ণধার অরিন্দম বারিক, বিশিষ্ট লেখক নুর মহম্মদ, রোডম্যাপ পত্রিকার সম্পাদক এম এম আব্দুর রহমান, সালমান মুর্শেদ প্রমুখ।
এদিন সফিউল ইসলাম পিটার সম্পাদিত “মেঠোপথ সালারের ক্যাম্পাস” পত্রিকাও প্রকাশিত হয়। একদিকে কনকনে শীত। কিন্তু শীতকে উপেক্ষা করে কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এখন মেলামুখী। জমে উঠেছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকাশনার গবেষণামূলক বই কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের পাঠকদের বিশেষ খোরাক। সবমিলে কলকাতা পুস্তক মেলা এখন জমজমাট।
খুলনা গেজেট/এনএম