কক্সবাজারে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের কারণে বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে টেকনাফের ২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ওপাড়ে রাখাইনের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভারী মর্টার ও গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এতে গ্রামবাসীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
বিজিবি জানায়, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীণ সংঘাত চলমান থাকায় সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা বজায় রেখেছিল বাংলাদেশ।এবার সীমান্তের কাছাকাছি সংঘর্ষ চলছে বলে জানা গেছে এবং এ অবস্থায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
কমান্ডিং অফিসার মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমরা ২৪ ঘণ্টা সতর্ক আছি।’
বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের দিক থেকে ভারী মর্টার ও গুলির শব্দে টেকনাফের হোয়াইকং ইউনিয়নের উলুবুনিয়া এলাকার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
হোয়াইকং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মিয়ানমার থেকে আসা একটি গুলি তার এলাকার একটি বাড়িতে এসে পড়েছে।
গুলি ও গুলির শব্দ সম্পর্কে জানতে চাইল বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, তিনিও ঘটনাটি শুনেছেন। কিন্তু ওই এলাকা তার এখতিয়ারের মধ্যে না। এ বিষয়ে তিনি ৩৪ বিজিবির অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
যোগাযোগ করা হলে টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, ‘শুনেছি হোয়াইকংয়ের একটি বাড়িতে গুলি এসে পড়েছে এবং সীমান্ত এলাকা থেকে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।’ ‘বর্ডার গার্ড আমাদের নির্দেশনা দিলে আমরা গ্রামবাসীদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করব,’ যোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইনের বুচিডং ও ফুমালি এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।