বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইক উচ্ছেদ ও হয়রানি বন্ধসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ এবং রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে সোমবার নগরীর পিকচার প্যাসে মোড়ে শ্রমিক সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠন দুটি।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, আটক সকল রিকশা-ভ্যান ব্যাটারি ও মোটরসহ ফেরত দেওয়া, পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের হয়রানি বন্ধ, প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করে ব্যাটারিচালিত বাহনের লাইসেন্স প্রদান, বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করে রিকশার জন্য যথোপযুক্ত ডিজাইন ও নিরাপদ ব্রেক পদ্ধতি নিশ্চিত করণ, নগরীর প্রধান সড়কে রিকশার জন্য প্রয়োজনে আলাদা লেন নির্মাণ, প্রস্তাবিত থ্রি হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা-২০২১’ চুড়ান্ত করে ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স প্রদান, বর্ধিত ব্রেকার চার্জ প্রত্যাহার এবং চালকদের ওপর হয়রানি নির্যাতন বন্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে যৌথ সংগঠনের নেতা কোহিনুর আক্তার কণা বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে আমাদের সমস্যার সমাধানের কথা বললেও মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আলোচনায়ই বসতে চাচ্ছেন না। আমরা বিভিন্ন সময় ব্যাটারিচালিত রিকশাকে আধুনিকায়নের জন্য বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী দ্বারা বিজ্ঞানসম্মত ডিজাইন করে রেজিস্ট্রেশন ও চলাচলের নীতিমালা করার জন্য প্রস্তাব করেছি। কিন্তু তার কোনো কিছুই বাস্তবায়িত করা হয়নি।
তিনি বলেন, উল্লিখিত দাবিতে ইতিমধ্যে সিটি করপোরশেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এখনো আমরা এ ব্যাপারে কারো কাছ থেকে কোনো সাড়া পায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিকশা-ভ্যান ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক এইচ এম শাহাদত ও সদস্য সচিব এস এম চন্দন, রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক এস এম আলমগীর হোসেন বাবু ও সদস্য সচিব জনার্দন দত্ত নান্টু প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/কেডি