বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুএক জায়গায় আজও হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। অন্যান্য জায়গায় আবহাওয়া শুষ্ক ও আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এতে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘সিলেট, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জেলায় কুয়াশা কমতে আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর বিভাগ এবং নওগাঁ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এদিন দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় আট দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া, নওগাঁর বদলগাছীতে নয় ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রংপুরে নয় ডিগ্রি, নীলফামারীর সৈয়দপুরে আট দশমিক আট, তেঁতুলিয়ায় আট দশমিক ছয়, নীলফামারীর ডিমলায় নয় ডিগ্রি ও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে নয় দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
অধিকাংশ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়লেও কুয়াশার কারণে কমেনি শীতের তীব্রতা। রাজধানী ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন এলাকার আকাশ আজ মেঘাচ্ছন্ন। মাঝে মাঝে রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে।
আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘এসব জেলার পাশে শৈত্যপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে।’
গত ২৩ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছয় দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাজধানী ঢাকায় আজ ১৪ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
‘ঢাকায় কাল রাতের তাপমাত্রা কমে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি চলে যেতে পারে,’ বলেন আবুল কালাম মল্লিক।
এদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ নয় মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ সময় ঢাকায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
কুমিল্লায় আট, চট্টগ্রামে সাত, বান্দরবানে পাঁচ, কক্সবাজারে চার, সন্দ্বীপ, কুতুবদিয়া, পটুয়াখালী ও চাঁদপুরে তিন, সীতাকুণ্ড, মাইজদীকোর্ট, খুলনা, যশোর, বরিশাল, ভোলা ও রাঙ্গামাটিতে দুই মিলিমিটার এবং ফেনী, হাতিয়ায়, মোংলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরায় এক মিলিমিটার করে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে কুয়াশা একেবারে কেটে যায়নি। তবে অনেক জায়গায় হালকা হয়ে যাবে।’
খুলনা গেজেট/এনএম