চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির শুরুটা হলো দারুণ। পিছিয়ে পড়েও পোর্তোকে উড়িয়ে ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় শুভসূচনা করেছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি ৩-১ গোলে জেতে সিটি। লুইস দিয়াসের গোলে পিছিয়ে পড়া দলকে সমতায় ফেরান সের্হিও আগুয়েরো। বিরতির পর অন্য দুই গোল করেন ইলকাই গিনদোয়ান ও ফেররান তরেস।
ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় পোর্তোর বিপক্ষে এই নিয়ে তিনবারের দেখায় তিনবারই জিতল সিটি। ২০১১-১২ মৌসুমে ইউরোপা লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে ২-১ গোলে জয়ের পর ফিরতি লেগে জিতেছিল তারা ৪-০ ব্যবধানে।
ঘরের মাঠে বল দখলে রেখে সিটি আক্রমণাত্মক শুরু করলেও চতুর্দশ মিনিটে স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে যায় পোর্তো। অসাধারণ এক গোল করেন দিয়াস। মাঝমাঠে সতীর্থের পাস পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ের জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন কলোম্বিয়ার এই ফরোয়ার্ড।
অবশ্য একটু পরই পোর্তোর ডিফেন্ডার পেপে ডি-বক্সে রাহিম স্টার্লিংকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সিটি। সফল স্পট কিকে সমতা টানেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার আগুয়েরো।
২২তম মিনিটে সিটির গোলরক্ষক এদেরসনের ভুলে ডি-বক্সের সামনে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন মাতেয়াস উরিবের। কিন্তু উড়িয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন কলম্বিয়ার এই মিডফিল্ডার।
৪২তম মিনিটে আবার পিছিয়ে পড়তে বসেছিল সিটি। গোললাইন থেকে বল ফিরিয়ে এ যাত্রায় দলকে বাঁচান ইংলিশ ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যেতে পারত স্বাগতিকরা। তবে ডি-বক্সের ভেতর থেকে গিনদোয়ানের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
সেই গিনদোয়ানই ৬৫তম মিনিটে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে এগিয়ে নেন দলকে। ডি-বক্সের ঠিক সামনে ফ্রি-কিক পেয়েছিল সিটি। ডান পায়ের শটে রক্ষণ প্রাচীরের ওপর দিয়ে জাল খুঁজে নেন জার্মান মিডফিল্ডার।
৭৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান খানিক আগে আগুয়েরোর বদলি নামা তরেস। ফিল ফোডেনের পাস ডি-বক্সের বাঁ দিকে পেয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।
গ্রুপের আরেক ম্যাচে নিজেদের মাঠে ফরাসি ক্লাব মার্সেইকে ১-০ গোলে হারায় গ্রিসের দল অলিম্পিয়াকোস।
খুলনা গেজেট/এএমআর