দেশজুড়ে বিরাজ করা শীতের মধ্যেই আজ বৃহস্পতি ও কাল শুক্রবার রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে বলে খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃষ্টির পর কুয়াশা ও শীতের দাপট কমার আশা আবহাওয়াবিদদের।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, আজ থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে পারে কিছুটা। কয়েক দিন পর শীতের তীব্রতা কমলেও ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঠান্ডা থাকবে। মাঝেমধ্যে একটু কমবেশি হবে। এর পর আস্তে আস্তে শীত একেবারেই কমে যাবে।
এদিকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গত মঙ্গলবারের তুলনায় গতকাল আরও কমেছে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বান্দরবান ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ‘শীতের হটস্পট’ হিসেবে পরিচিত এ স্থানে তাপমাত্রাও গতকাল কমেছে। এদিন শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৮, রাজশাহীতে ১১ দশমিক ১, দিনাজপুরে ১১, তেঁতুলিয়া ১০ দশমিক ৭ ও পাবনার ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
রাজধানীতেও বেড়েছে শীতের প্রকোপ। গতকাল রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের দাপট শুরুর পর ১১ জানুয়ারি থেকে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ অঞ্চল ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা এবং উত্তুরে হাওয়া শীতের অনুভূতি তীব্র করে তোলে। জনজীবন স্থবির করে কয়েকটি জেলায় বয়ে যায় শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার খবরও মিলছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, খাতা-কলমে তাপমাত্রা খুব একটা না কমলেও বেশ কিছু কারণে এবার শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।