খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

জাতিসংঘের প্রতিবেদন : বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরি চক্রের ভাগ-বাঁটোয়ারা এখনো চলছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার হ্যাক করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চুরি করে ‘লাজারাস গ্রুপ’। উত্তর কোরিয়ার এই হ্যাকার্স গোষ্ঠীর সহযোগী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চক্রটি এখনও সক্রিয়। সোমবার জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রতারক এবং মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে পাচারের অর্থ এবং অবৈধ আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যাংকিং নেটওয়ার্কগুলোর মাধ্যমে ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। ক্যাসিনো এবং ক্রিপ্টো মুদ্রা বিনিময়ের মাধ্যমগুলো এখন চক্রটির অপরাধ সংগঠনের মূল জায়গা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

এ বিষয়ে জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য ও অপরাধ কার্যালয় (ইউএনওডিসি) বিশদ বিবরণ ছাড়াই জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার লাজারাস গ্রুপ সহযোগী হ্যাকারদের দ্বারা মেকং এলাকায় (থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়ায়) এই ধরনের ভাগাভাগির বেশ কয়েকটি নজির দেখা গেছে। বেশকিছু তথ্য ও ব্লকচেইন ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের কার্যকলাপ শনাক্ত করা হয়েছে।

ইউএনওডিসির প্রতিবেদনের বিষয়ে জেনেভায় জাতিসংঘের উত্তর কোরিয়া মিশনের এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ‘বিষয়টি সম্পর্কে পরিচিত নন’ বলে জানান তিনি। তাঁর দাবি, লাজারাস নিয়ে আগের প্রতিবেদনটি ছিল কল্পনাপ্রসূত ও ভুয়া।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, লাজারাস হ্যাকিং গ্রুপটি উত্তর কোরিয়ার প্রধান গোয়েন্দা ব্যুরো রিকনেসান্স জেনারেল ব্যুরো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এর বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের সাইবার অপরাধ এবং র‍্যানসম (হ্যাক করে অর্থ আদায়) আক্রমণের একটি অপারেশনে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের চুরি করা তহবিলগুলো পিয়ংইয়ং এবং এর অস্ত্র কর্মসূচির অর্থায়নের অন্যতম উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

প্রতিবেদনে ফিলিপাইনের লাইসেন্সকৃত ক্যাসিনো এবং জাঙ্কেট অপারেটরদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যারা ২০১৬ সালে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাইবার আক্রমণ করে চুরি করা প্রায় ৮১ মিলিয়ন ডলার পাচারে সহায়তা করেছিল। এই অর্থ চুরির জন্য লাজারাস গ্রুপকে দায়ী করা হয়।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ইউএনওডিসি প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস বলেন, ক্যাসিনো এবং ক্রিপ্টোর বিস্তার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সংগঠিত অপরাধ চক্রগুলোকে বিপুল শক্তি জুগিয়েছে।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!