দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। ডিসেম্বর মাসে এ হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এছাড়া জাতীয়ভাবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তবে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। এদিকে বেড়েছে শ্রমিকের মজুরি হার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কঞ্জুমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রোববার এটি প্রকাশ করে সংস্থাটি।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে প্রথম কার্যদিবসে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, মূল্যস্ফীতি একক কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে না। বৈশ্বিক সংকটের কারণে অনেক আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে দেশের বাজারেও বেড়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে মূল্যস্ফীতিতে। তবে এটি কমাতে সরকারের নানা উদ্যোগ আছে।
বিবিএস’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে ছিল ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৮ শতাংশ।
এদিকে ডিসেম্বরে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে ছিল ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। তবে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে ছিল ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বিবিএস’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ডিসেম্বর মাসে দেশের সার্বিক মজুরি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৩২ শতাংশে, যা নভেম্বর মাসে ছিল ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। এর মধ্যে কৃষি খাতে মজুরি হার বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ১৯ শতাংশ, যা তার আগের মসে ছিল ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। এছাড়া শিল্প ক্ষেত্রে মজুরি হার বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে ছিল ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। সেবা খাতে মজুরি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশে, যা নভেম্বর মাসে ছিল ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।
খুলনা গেজেট/কেডি