তেরখাদা উপজেলায় করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে না পড়লেও স্বাস্থ্যবিধি আর সামাজিক দুরত্ব না মেনে অবাধে চলাফেরা করছে এবং মাস্ক ব্যবহারে বেশিরভাগ মানুষ উদাসীন। হাটবাজার, পাড়া মহল্লায় মানুষের ভিড়।
এ পর্যন্ত তেরখাদা উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৪৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩৭ জন আর করোনা উপসর্গে মারা গেছে ১ জন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আছাদুজ্জামান।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এক শ্রেণির মানুষ অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। হাট বাজার, পাড়া মহল্লায় স্বাস্থ্যবিধি আর সামাজিক দুরত্ব ভেঙ্গে চলাচল করছে। দোকানপাট, হোটেল-রোস্তারা খোলা থাকায় মানুষ সামাজিক দুরত্ব ভুলে আড্ডা জমাচ্ছে। সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার নির্দেশনা থাকলেও মানুষ রাত ৯ টা ১০ টা পর্যন্ত আড্ডা দিচ্ছে। অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। আবার কারও মুখে মাস্ক থাকলেও তা মুখ থেকে নামিয়ে রাখা হয়েছে। কেউ কেউ পকেটে পুরে রেখেছে। মাস্ক না পরলে জেল জরিমানার বিধান থাকলেও মানুষ তার প্রতি কোন তোয়াক্বা করছে না। ফলে যে যার মত করে চলাচল করছে। স্বাস্থ্যবিধি আর সামাজিক দুরত্ব নিয়ে প্রশাসনিক ভাবে সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা বর্তমানে নেই। আর কদিন পর কুরবানী, ইতোমধ্যে কুরবানী সামনে রেখে মানুষের চলাচল বেড়ে গেছে। তবে এখনই উপজেলা প্রশাসন আর স্বাস্থ্য বিভাগ নড়ে চড়ে না বসলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে। এ উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আশংকাজনক না হলেও মানুষের মধ্যে নেই সচেতনতাবোধ।
উপজেলার কাটেংগা, জয়সেনা, তেরখাদা, বরইতলা, নাচুনিয়া, শেখপুরা, ছাগলাদাহ, সাচিয়াদাহ, পাতলা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবাধে ঘোরাফেরা করছে। এ উপজেলায় নমুনা সংগ্রহের হার একেবারেই নেই। তাই বোঝারও উপায় নেই কে করোনায় আক্রান্ত আর কে আক্রান্ত নয়। মানুষ সামাজিক দুরত্ব ভুলে চলাচল করছে। স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব রয়েছে সবখানে। যানবাহনে চলাচলের উপর বিধি নিষেধ থাকলেও তা মানছে না অনেকে। এক সাথে গাদাগাদি করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিমুল কুমার সাহা বলেন শীঘ্রই এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, মাস্ক পরিধান করা নিশ্চিত করবো এবং মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।’
খুলনা গেজেট/এনএম