দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টায় সারাদেশের ৪২ হাজার ১৪৮টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে। সকালে শীত ও কুয়াশা থাকায় ভোট কেন্দ্রের ভোটার উপস্থিতি খুবই কম।
৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলামের মৃত্যুর কারণে সেখানে পরে ভোট হবে। বাকি ২৯৯ আসনে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১ হাজার ৯৬৯ প্রার্থী। ২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে লড়াই করছেন ১ হাজার ৫৩৪ প্রার্থী।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৬৬ জন, জাতীয় পার্টির ২৬৫, তৃণমূল বিএনপির ১৩৫, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের ৩৯, ইসলামী ঐক্যজোটের ৪২, কৃষক শ্রমিক জনতা-লীগের ৩০, গণফোরামের ৯, গণ-ফ্রন্টের ২১, জাকের পার্টির ২১, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১৩, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ৬৬, বিকল্পধারা বাংলাদেশের ১০, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ৩৫, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ১৬, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ১১, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ৫, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ৫৬, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের ৩৮, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) ৫, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফের ৪৫, বাংলাদেশ মুসলিম-লীগের ৪, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ৭৯, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ৬৩, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির ২৬, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) ৪, গণতন্ত্রী পার্টির ১০ জন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন ৪৩৬ জন।
এবারের নির্বাচনে নারী প্রার্থী হিসেবে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯০ প্রার্থী। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ থেকে ১৮, জাতীয় পার্টি থেকে ৭ নারী প্রার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র নারী প্রার্থী হিসেবে আছেন ২৩ জন। আর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও অন্যান্য মিলে ৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সংসদ নির্বাচনে এবার মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ১৪৮টি। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষ থাকবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবমতে, এবার ১০ হাজার ৩০০টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকা দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে।