শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলায় রায় পড়া শুরু করেছে আদালত। রোববার দুপুর ২টা ১৪ মিনিটে শ্রম আদালতের বিচারক ৮৪ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেছেন। এর আগে দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে এজলাসে এসে পৌঁছেন ড. ইউনূস। এজলাসের দ্বিতীয় সারির বেঞ্চে বসে রায় শুনছেন তিনি।
গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে- গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করা, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া।
আইনে কারাদণ্ড দিলে ড. ইউনূসকে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারবেন। ড. ইউনূসের সর্বোচ্চ সাজা ও জরিমানা দাবি করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী। তিনি বলেন, শ্রম আদালতে মামলা শুরুর পর এই মামলাটি রায় পর্যন্ত পৌঁছাতে অন্যসব মামলার তুলনায় বেশি সময় লেগেছে। এই মামলা অনেক দ্রুতগতিতে পরিচালিত হয়েছে বলে তাদের আইনজীবীর অভিযোগ সত্য নয়।
তবে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মামলাটি বোয়িং বিমানের চাইতেও দ্রুতগতিতে পরিচালিত হয়েছে। ন্যায়বিচার হলে ড. ইউনূস বেকসুর খালাস পাবেন। তিনি আরও বলেন, কলকারখানার আইনজীবীরা মামলার অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এর আগে মামলা চলাকালীন সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস আদালতে হাজির হয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতে বক্তব্য দিয়েছেন। ন্যায়বিচার দাবি করে তিনি আদালতকে বলেন, আমি যা করেছি সবই মানুষের জন্য করেছি।
ব্যক্তিগত লাভের জন্য কোনো কিছু করিনি। আমি যে সমস্ত উদ্যোগ নিয়েছি কোনোটিতেই ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য করিনি। সেটা গ্রামীণ ব্যাংক কিংবা অন্য বড় কোনো প্রতিষ্ঠানই হোক।
ড. ইউনূস ছাড়াও এ মামলার অপর তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
খুলনা গেজেট/এনএম