খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ
  সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম মারা গেছেন
  ভারতে হাসপাতালে আগুন লেগে ১০ শিশুর মৃত্যু

গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় আনুমানিক ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। খবর আল-জাজিরার।

চিকিৎসা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফা শহরে হামলায় ২০ জনের মতো মানুষ নিহত হয়েছেন। আরও অনেকে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। সম্ভবত তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন।

এর আগে আল-জাজিরা জানিয়েছিল, নুসিরাতের বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে জাবালিয়ার আল-আওদা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, শরণার্থী শিবিরের দিকে ইসরায়েলি সেনারা অগ্রসর হওয়ায় আনুমানিক ১ লাখ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি মধ্য গাজা থেকে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। জাতিসংঘ বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে শরণার্থী শিবিরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ও হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো বুরেজ ক্যাম্পের পূর্ব দিকে পৌঁছেছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী সম্প্রতি সেখানকার বুরেজ এবং কাছাকাছি নুসিরাত ও মাগাজি ক্যাম্প লক্ষ্য করে তাদের আক্রমণ আরও বাড়িয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মধ্য গাজাজুড়ে বিস্তৃত একটি এলাকা খালি করার আহ্বান জানিয়েছে যার মধ্যে বুরেজ ও নুসিরাত আশ্রয় শিবির রয়েছে। এ এলাকার প্রায় ৯০ হাজার বাসিন্দা এবং ৬১ হাজার বাস্তুচ্যুত লোককে দেইর আল-বালাহ শহরে দক্ষিণ দিকে সরে যেতে বলেছে ইসরায়েল।

৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ওই দিন হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর থেকে গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েল। গাজায় এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে যার বেশিরভাগই শিশু ও নারী।

ইসরায়েল বলছে, তারা নতুন করে আরও ২০০ লক্ষ্যবস্তুতে বিমান ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে গাজা উপত্যকার উত্তর, মধ্যবর্তী এলাকা রয়েছে। দক্ষিণে খান ইউনিসও ছিল ইসরায়েলি হামলার প্রধান কেন্দ্রস্থল।

গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর শর্তে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবের পরও হামলা থামায়নি দখলদাররা।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!