খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ কার্তিক, ১৪৩১ | ৩০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৫৪
  দ্রুতই সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় স্থায়ীভাবে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলন

খুলনায় সাড়ে তিন লাখ লিফলেট বিতরণের দাবি বিএনপির

গেজেট ডেস্ক

আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের খেলা বর্জন, ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালনে বিরত থাকতে, সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল ও অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখতে, ব্যাংকগুলো সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম বিধায় ব্যাংকে লেনদেন যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় অভিযুক্তগণ মামলায় হাজিরা দেয়া থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে  খুলনায় সাড়ে ৩লাখ প্রচারপত্র বিতরণ করেছে বিএনপি। খবর বিজ্ঞপ্তির

দুই দফায় দলটি খুলনা মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে এসব লিফলেট বিতরণ করেন বলে দলের মিডিয়া সেল জানিয়েছে।

বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিলটন জানান, জনগণের আন্দোলনের ফলে দেশে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হলে ওইসব অসহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্থগণ যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং সুবিচার পাবেন। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে বিএনপির অনেকে জীবন দিয়েছেন, গুম হয়েছেন, বন্দী ও আহত হয়েছেন। কিন্তু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে ও চলবে। জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও লড়াইয়ের বিজয় অবশ্যম্ভাবী ও অনিবার্য।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত গণতন্ত্র ছলে, বলে, কৌশলে হত্যা করে গত ১৫ বছর ধরে বিনাভোটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সীমাহীন দূর্ণীতি, অনাচার, নির্যাতন ও অপশাসন চালিয়ে বাংলাদেশকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। বিরোধীমত দমনের জন্য গুম, খুন, গায়েবী মামলাকে হাতিয়ার বানিয়ে দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করেছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জনগণের ভোট লাগেনা বলে সরকারের কাছে জনগণের আশা, আকাঙক্ষা, প্রয়োজন কিংবা অসন্তুষ্টির কোন মূল্য নেই। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য সমাজের কিছু দুর্ণীতিগ্রন্থ ধনী, আমলা, পুলিশ এবং দলীয় নেতাকর্মী দিয়ে জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমন করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এরা দেশের সম্পদ লুট করে দেশে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ছে আর জনগণ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ক্ষমতাসীনদের অত্যাচার-চাদাবাজীর শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, স্বৈরাচার ভোট ডাকাতদের এদেশের জনগণ আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জনগণ মুক্তি চায়, জনগণ দ্রব্যমূল্যের নিষ্পেষন থেকে পরিত্রাণ চায়, মানুষ স্বস্তিতে বসবাসের উপযোগী একটি বাংলাদেশ চায়। সময় এসেছে এখন এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠিনতর আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলে তাদের পতন নিশ্চিত করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা হবে।

জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আবু হোসেন বাবু বলেন, দেশের কৃষকগণ তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পায়না অথচ প্রতিদিনই কৃষি ও ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। শ্রমিকেরা ন্যায্য মুজুরী পায়না অথচ প্রতিবাদ করলেই রাজপথে তাদের রক্ত ঝড়ছে। ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। প্রবাসে শ্রমিকদের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। অথচ এরাই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা পরিবর্তনের প্রধান শক্তি।  কিন্তু ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার জাতীয় সংসদের কিছু আসন তাদের দুর্ণীতি-অনাচারের অংশীদার অনুগত দলগুলোকে অনুদান হিসেবে দিয়ে তথাকথিত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের তামাশা করতে যাচ্ছে। এই লক্ষ্যে তারা কিছু ডামী প্রার্থীকে নির্বাচনে রেখে এক নতুন হাস্যকর দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছে।

মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেন, সত্যিকারের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ন্যায্য দাবীর প্রতি অটল থেকে এই আসন ভাগাভাগির তামাশাপূর্ণ ডামী নির্বাচন বর্জন করার আহবানেই প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন সফল হবেনা।

তিনি বলেন, শীঘ্রই জনগণের অংশগ্রহণে একটি অবাধ নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। যে অবৈধ সরকার জনমতের বিরুদ্ধে নির্বাচনের নামে তামাশা করতে যাচ্ছে- সেই সরকারকে সহযোগীতা করা কোন দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী নাগরিকের জন্য উচিত হতে পারেনা বলেই এই মুহুর্ত থেকে এই অবৈধ সরকারকে অসহযোগীতা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান তিনি।

প্রচারপত্র বিলি: বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সদর থানা বিএনপি নগরীতে প্রচারপত্র বিলি করেছেন। সদর থানায় আহবায়ক কে এম হুমায়ুন কবীর ও সদস্য সচিব মোল্লা ফরিদ আহমেদ এর নেতৃত্বে নগরীর রেলওয়ে মার্কেটে প্রচারপত্র বিলি করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন শেখ আবু সাঈদ, সিরাজুল ইসলাম লিটন, আলতাব খান,  মাসুদ খান, এ কে এম সেলিম,  সালাউদ্দিন মোল্লা বুলবুল,  মঞ্জুর আলম,  মোল্লা নুর ইসলাম,  জাহাঙ্গীর হোসেন, শেখ মনিরুজ্জামান মনির,  নওগাতুল আলম সগীর,  মোহাম্মদ  মেশকাত আলী,  মাকসুদুল হক হারুন,  আল মামুন বাপ্পি,  মোহাম্মদ আসলাম হোসেন, মোঃ জাহিদ হাসান,  আরিফুল ইসলাম প্রমূখ। এছাড়াও খালিশপুর থানা ও খানজাহান আলী থানা বিএনপি, মহানগর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জাসাস ও মহিলাদল নগরীতে প্রচারপত্র বিলি করেছেন।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!