বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জোর করে যারা ক্ষমতায় থেকে দেশের উন্নয়ন করতে পারেনি, তারা আবার ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের ইশতেহার দিয়েছে। এতে শুধু বড় বড় কথা আছে। আর এই নির্বাচন জনগণ গ্রহণ করবে না। বিএনপি এটা (ইশতেহার) প্রত্যাখ্যান করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লিফলেট বিতরণ আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে নেতাকর্মীদের নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজকে এ দেশে গণতন্ত্রের নামে প্রহসন চলছে, নির্বাচনী খেলা চলছে। আমি আর ডামিরা মিলে নির্বাচন করছে। এই নির্বাচনে জনগণের মত প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই। এখানে কোনো বিরোধী রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে না। কাজেই এই নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন হবে না। সরকারবিরোধী কোনো পক্ষ না থাকায় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেজন্য দেশের মানুষ এই নির্বাচন বর্জন করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, ‘এই নির্বাচন একটা অবৈধ সরকার, দুর্নীতিবাজ, দেশের অর্থ সম্পদ লুটকারী এবং মানুষের অধিকার হরণকারী সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধির অপচেষ্টা মাত্র। আপনারা তাদেরকে না বলুন। আপনারা তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এই নির্বাচনী খেলা ব্যর্থ করে দিন।’
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘গতকালই রাজধানী ঢাকা ছিল বায়ুদূষণে বিশ্বে শীর্ষে। তারা (আওয়ামী লীগ) বলেন, দেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। কি উন্নয়ন হলো তাহলে হলে? আপনারা এই ঢাকা শহরকে বায়ুদূষণে শীর্ষ করেছেন?’
দেশের জনগণের জয় হবে জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকার পতনের লড়াইয়ে আমরা বিজয়ী হব।’
এ সময় মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে নেতাকর্মীদের নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক। লিফলেট বিতরণের আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের এই চলমান আন্দোলনে সংকট সমাধানের জন্য জনগণ আমরা সম্পৃক্ত করেছি। আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও প্রশাসনকে দিয়ে বিএনপিকে আজ সরকার ধ্বংস করার হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তাই আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার পতনের আন্দোলনে ছিলাম। এখন যদি কোনো অঘটন ঘটে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে।’
খুলনা গেজেট/এনএম