জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়েছেন যুব দলের ক্রিকেটার, কোচ, ম্যানেজারসহ অন্তত ১৫ জন। এর মধ্যে তিনজন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। করোনা উপসর্গ আছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ নাভিদ নেওয়াজেরও।
তিনজনের শরীরে করোনার উপসর্গ থাকায় কদিন আগে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাম্প স্থগিত করা হয়। জানানো হয়েছিল পরীক্ষার পর সব ঠিক থাকলে শনি-রোববার থেকে আবারও শুরু হতে পারে যুবাদের ক্যাম্প। কিন্তু সব ঠিক থাকেনি। উপসর্গ দেখা দিয়েছে আরও বেশ কয়েকজনের শরীরে।
জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়েছেন ক্রিকেটার, কোচ, ম্যানেজারসহ অন্তত ১৫ জন। এর মধ্যে তিনজন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। করোনা উপসর্গ আছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ নাভিদ নেওয়াজেরও। ঢাকায় তার জন্য নির্ধারিত বাসায় আইসোলেশনে আছেন বিশ্বজয়ী এই কোচ। বাকিদেরকে মিরপুরের সুইমিং কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
lআগামী নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে আসরটি স্থগিত করা হয়েছে। এ কারণে বিকেএসপিতে শুরু হওয়া যুবাদের ক্যাম্পের সময়সীমা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
যদিও করোনার হানায় ক্যাম্পটি বন্ধই রাখতে হচ্ছে। নিকট ভবিষ্যতে কোনো টুর্নামেন্ট-সিরিজ না থাকায় তাড়াহুড়ো করছে না বিসিবি। আপাতত বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়াতেই নজর বিসিবির। পরিকল্পনা মতো সবকিছু চললে আগামী ১০ নভেম্বর থেকে যুবাদের ক্যাম্প শুরু হবে। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এমনই জানিয়েছেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের ম্যানেজার আবু ইমাম মোহাম্মদ কায়সার।
তিনি বলেন, ‘কয়েকজনের শরীরে উপসর্গ ছিল। তাদের সংস্পর্শে যারা গিয়েছে, তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। একজনের যদি উপসর্গ থাকে, তার রুমমেট, তার সাথে নেটে অনুশীলন করা বা তার সাথে মেশা সবাইকে আইসোলেশনে নেওয়া উচিত। এভাবে দুইজনের কারণেও ৮-১০ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া লাগতে পারে। এটা সতর্কতার অংশ, এটা আমাদের প্রটোকল।’
তিনজনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারে বিসিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মেডিকেল কমিটি আমাদের এমনই জানিয়েছে। কয়েকজনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার মতো অবস্থাই ছিল। পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর দেখা গেছে, তারা তিনজন করোনায় আক্রান্ত। কোন তিনজন সেটা বলছি না আমরা। এদের সংস্পর্শে যাওয়ায় বাকিদের আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।’ বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজনও একই তথ্য দিয়েছেন।
ক্যাম্প স্থগিত করার কারণ হিসেবে মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘যেহেতু আগামী নভেম্বরের এশিয়া কাপ স্থগিত হয়ে গেছে, তো আমরা ক্যাম্প চালু রাখছি না। এ ছাড়া এখানে একটা ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে, যে কারণে ক্যাম্প বন্ধ থাকছে। যেহেতু নিকট ভবিষ্যতে কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্ট নেই, আপাতত তাড়া নেই আমাদের। সব ঠিক হওয়ার পরে নভেম্বরে আবার শুরু করব। মূলত এশিয়া কাপ না হওয়ার কারণেই ক্যাম্পটা আমরা স্থগিত করেছি।’
আগামী ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে পারে যুবাদের ক্যাম্প। যদিও বিষয়টি চূড়ান্ত নয়। মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, এশিয়া কাপের কারণেই মূলত ক্যাম্প স্থগিত করা হয়েছে। এশিয়া কাপ হলে আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েও ক্যাম্পটা চালিয়ে যেতাম। এই তিনজন ছাড়া বাকিদের নিয়ে ক্যাম্প চলতো। কিন্তু এখন এটার দরকার নেই আমাদের। কারণ আমাদের লক্ষ্য পিছিয়ে গেছে। সব ঠিকঠাক হলে আমাদের লক্ষ্য আছে আগামী মাসের ১০ নভেম্বর থেকে শুরু করার। এটা নিশ্চিত নয়, তবে এমনই পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’
২৮ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে গত ১ অক্টোবর থেকে বিকেএসপিতে যুব দলের ক্যাম্প শুরু হয়। আগামী নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় যুব এশিয়া কাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ক্যাম্পটি শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু আসরটি স্থগিত হওয়ায় এবং কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ক্যাম্প চালিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে না বিসিবি।
খুলনা গেজেট/এএমআর