সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের কাছে রেকর্ড ব্যবধানে হারল বাংলাদেশের মেয়েরা। ফলে প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে গেলেও টানা দুই হারে সিরিজ খোয়াতে হলো টাইগ্রেসদের। শনিবার বেনোনিতে ২১৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে নিগার সুলতানার দল। দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ উইকেটে ৩১৬ রানের জবাবে ৩১.১ ওভারে মাত্র ১০০ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
মেয়েদের ওয়ানডেতে রানের হিসাবে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হার। তাদের আগের রেকর্ড হারের তেতো অভিজ্ঞতাও হয়েছিল প্রোটিয়াদের বিপক্ষে। ২০১৮ সালে কিম্বার্লিতে ১৫৪ রানে হেরেছিল তারা। অর্থাৎ ৫০ ওভারের ক্রিকেটে এই প্রথম দুইশ বা এর চেয়ে বেশি রানে হারল বাংলাদেশের মেয়েরা।
বেনোনির উইলোমোর পার্কে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভয়ঙ্কর হতে শুরু করে উলভার্ট-ব্রিটস জুটি। ১৯ ওভারের মাঝে ১০০ আর ৩০ ওভারের মাঝে আসে দুই শ’ রান। সেঞ্চুরি পেয়েছেন দু’জনেই। টাইগ্রেস দলপতি জ্যোতি উইকেটের আশায় একে একে ব্যবহার করেছেন ৭ বোলার। কিন্তু কেউই দিতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত ব্রেকথ্রু। ৪৩ ওভারে লরা উলভার্টকে বোল্ড করেন মারুফা আক্তার। উলভার্ট ১৩৪ বলে করেন ১২৬ রান। তিনি মারেন ১৩ চার ও ১ ছক্কা। টিকতে পারেননি ব্রিটসও। ৮ চার ও ২ ছক্কায় ১১৮ রান করে দলীয় ২৫১ রানে রিতু মনির বলে স্ট্যাম্পিং হন তিনি।
অ্যানিকি বসের সঙ্গে এরপর দ্রুত রান তোলেন শুন লুস। এই জুটি থেকে আসে ৪৮ রান। ২৯৮ রানে লুসকে ফেরান রাবেয়া। পরের বলেই আবারও ফেরান নাদিন ডি ক্লার্ককে। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৬ রানে থামে প্রোটিয়ারা।
জবাবে দলীয় ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। শামীমা সুলতানা (৬), মুর্শিদা খাতুন (৮), ফারজানা হক(৮) ও নিগার সুলতানা জ্যোতি (৩)। তারা কেউই ইনিংস বড় কররে পারেননি।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৬১ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন রিতু মনি ও ফাহিমা খাতুন। ম্যাচের সর্বোচ্চ জুটি এটিই। ১৭ ওভারে ফাহিমা আউট হলে এই জুটি ভাঙে। ফেরার আগে ২৬ বলে ১৫ রান করে যান তিনি। এরপর খুব্র দ্রুত আউট হন স্বর্ণা আক্তার (৭)। এরপর দলীয় ৯৬ রানে এক প্রান্ত আগলে রাখা রিতু মনি (৩৩) আউট হলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে টাইগ্রেসদের ইনিংস। বল হাতে প্রোটিয়া নারীদের হয়ে আয়াবঙ্গা খাকা ও নাদিন ডি ক্লার্ক নেন তিনটি করে উইকেট। আর দুই উইকেট ঝুলিতে তোলেন মারিজান্নে ক্যাপ।
খুলনা গেজেট/এনএম