চেক প্রজাতন্ত্রে প্রাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলার মূল হোতাকে খুঁজে পাওয়া গেছে। হামলাকারী বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন ছাত্র। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে চালানো ওই বন্দুক হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। দেশটির প্রাগে অবস্থিত চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ঘটনা ঘটে।
চেক প্রজাতন্ত্রের পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে এ হামলার ঘটনা ঘটে। চেক প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারী হলেন ডেভিড কোজাক, তার বয়স ২৪ বছর। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
প্রাগ পুলিশ প্রধান মার্টিন ভন্ডরাসেক বলেন, ডেভিড কোজাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বসবাস করতেন। তিনি চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ে পোলিস ইতিহাসে মাস্টার্স করছিলেন। সে একজন ভালো শিক্ষার্থী ছিলেন।
তার লাইসেন্স করা একটি বন্দুক ছিল। সেটি দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু কেন সে এমন কাণ্ড ঘটালো সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ডেভিড কোজাক বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালানোর আগে তার বাবাকেও হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালানোর পর কোজাকের দেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেই পাওয়া গেছে। তবে এটা স্পষ্ট নয় যে সে নিজের ওপর নিজে গুলি চালিয়েছে নাকি পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে।
ডেভিজ কোজাকের পরিকল্পনা ছিল একটি স্কুলে হামলা চালানো। সে জন্য টেলিগ্রামে একটি চ্যানেলও খুলে। সেখানে তিনি বলেন, আমি একটি স্কুলে হামলা করে নিজেকে শেষ করে দিতে চাই। সব সময় আমার খুন করতে ইচ্ছা করে।
পুলিশ তার ব্যাপার এর বেশি কিছু জানায়নি। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ হামলার পেছনে কোনো গ্রুপ তাকে ইন্ধন দিয়েছে কিনা সে সম্পর্কে খতিয়ে দেখা হবে।
তবে সে দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন এবং তার কোনো বন্ধুও ছিল না।
খুলনা গেজেট/ টিএ