খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ আট কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
  বিশ্বকাপ বাছাই : মার্টিনেজের ভলিতে পেরুর বিপক্ষে জয় পেল আর্জেন্টিনা

ইশতেহারে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি জাতীয় পার্টির

গেজেট ডেস্ক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি। ইশতেহারের শুরুতেই প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি।

জাতীয় পার্টি বলছে, প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে দেশের এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।

আজ (বৃহস্পতিবার) পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।

তিনি বলেন, দেশের এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। দেশে বিদ্যমান ৮টি বিভাগকে ৮টি প্রদেশে উন্নীত করা হবে। ৮টি প্রদেশের নাম হবে- উত্তরবঙ্গ প্রদেশ, বরেণ্য প্রদেশ, জাহাঙ্গীরনগর প্রদেশ, জালালাবাদ প্রদেশ, জাহানাবাদ প্রদেশ, চন্দ্রদীপ প্রদেশ, ময়নামতি প্রদেশ এবং চট্টলা প্রদেশ।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দুই স্তরবিশিষ্ট সরকার কাঠামো থাকবে। এক কেন্দ্রীয় সরকারকে বলা হবে ফেডারেল সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারে সিদ্ধান্ত থাকবে ৩০০ আসন বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ এবং দুই প্রাদেশিক সরকার। প্রাদেশিক সরকারের থাকবে প্রাদেশিক সংসদ। প্রতি উপজেলা কিংবা থানাকে প্রাদেশিক সরকারের একেকটি আসন হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, যদিও এটা দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থার একটা আমূল সংস্কারের বিষয়, তথাপিও আমরা মনে করি পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে প্রাদেশিক ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের ব্যাপারে প্রাথমিক ধারণা সম্পর্কিত একটি রূপরেখা আমরা দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করব। এ ছাড়া ঢাকা শহর থেকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ সদর দপ্তর প্রাদেশিক রাজধানীতে স্থানান্তর করা হবে।

নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার করার প্রতিশ্রুতি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচনী ইশতেহারে নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার করার পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তনে গুরুত্ব দিয়েছে জাতীয় পার্টি।

পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ক্ষমতায় গেলে নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার অর্থাৎ নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার করে আনুপাতিক ভোটের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিধান করা হবে। নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দেওয়া হবে। সন্ত্রাস, অস্ত্র ও কালো টাকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার করে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন অর্থাৎ উপজেলা আদালত ও পারিবারিক আদালতসহ পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা চালু করা। স্থানীয় সরকার কাঠামো শক্তিশালী করে এবং নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে উপজেলার ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।

ইশতেহারে সুশাসনের বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করে পার্টির মহাসচিব বলেন, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনকে সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখা হবে।

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, দুর্নীতি নির্মূল করতে দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্ত শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত, জনপ্রতিনিধিদের রাষ্ট্রীয় বাজেট তৈরি ও বাস্তবায়নে সংযুক্ত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করে অপচয় ও অপব্যবহার বন্ধ করা হবে। গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন ও মানবাধিকার কমিশনকে সরকারের প্রভাবমুক্ত রেখে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। অন্যদিকে বাজেট ও সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ব্যতীত ৭০ ধারা সংশোধনের মাধ্যমে সব প্রতিনিধিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আওতায় এনে সংসদ কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু ছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!