মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলায় পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থলের অদূরে নদীতে দুইটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে মুন্সীগঞ্জের চর আবদুল্লাহ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন।
মৃতরা হলেন- মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হারুনুর রশিদ এবং ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার মাহফুজুর রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চর আব্দুল্লাহ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হাসনাত জামান। তিনি জানান, দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই মরদেহ দুটি ভেসে উঠলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে। স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, সদর উপজেলার চরআব্দুল্লাহ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হাসনাত জামান জানান, গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ট্রলারচালক মো. আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে বাল্কহেডের মালিক নজরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে টঙ্গীবাড়ি থানায় মামলা করেন। এর প্রেক্ষিতে বাল্কহেডের ইঞ্জিনের ভেতর লুকিয়ে থাকা তিন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করে নৌ-পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- বাল্কহেডের লস্কর মো. হানিফ (২০), ইঞ্জিন মিস্ত্রী হানিফ নিয়াজী (৫০) ও পাঁচক নাকিব হাসান (২০)।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে টংগিবাড়ী উপজেলার হাসাইল এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে খেয়া পারাপারের ট্রলারটি একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় অন্তত ৪০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। এ ঘটনার পর পরই শিশুসহ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। নিখোঁজ ছিলেন দুই জন। মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজ ঐ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম