পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফিনান্সিয়াল টাইমস বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট, বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্ধ তৈরির অপচেষ্টা মাত্র।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের কিছু গণমাধ্যম মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশ সম্পর্কে বানোয়াট খবর প্রচার করে থাকে; পরে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এবারও তারা সেটাই করেছে। রাতে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত হন তিনি।
সভা শেষে নির্বাচন ইস্যুতে বিরোধীদল ও যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে মিথ্যা খবর প্রচার করছে- বাংলাদেশ সরকার এমন তথ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না। কারো বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করার কথা চিন্তাও করে না। বর্তমান সরকার জনগণের উপর বিশ্বাস রাখে। জনগণ ভোট দিলে নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসবে।
মোমেন বলেন, যুক্তরাজ্যে কিছু দুষ্ট বাংলাদেশি আছে তারা সেখানে বসে বসে টাকা-পয়সা খরচ করে এসব করে থাকে। অনেক বড় বড় গণমাম্যম বিক্রি হয়ে গেছে। যার প্রমাণ ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের নির্যাতন নিয়ে তারা কথা বলে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিএনপিও গাজা ইস্যুতে কথা বলে না ওই সব মিডিয়াও কথা বলে না। এসব ঘটনা থেকে তাদের মধ্যে আতাতের প্রমাণ মিলে। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বাংলাদেশ নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
যেখানে তারা বলছে— আসন্ন ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশে সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভুয়া খবর, ভুয়া ভিডিওসহ পরিকল্পিত অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ খবরের ভিত্তিতে বাংলাদেশে নির্বাচনসংক্রান্ত ভুয়া খবরের (ডিপ ফেক নিউজ) বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দপ্তরটির মুখপাত্র ম্যাথিউ বলেন, আমরা বাংলাদেশে নির্বাচন-সংক্রান্ত ভুয়া খবর দেখেছি। এআই ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে এমনটি করা হচ্ছে। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে।