বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করছেন এনায়েত হোসেন সিরাজের কমিটি। সঙ্গে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে কর্তৃক ক্রিকেটার নাসুমের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন তারা।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে দিয়ে ৩ ডিসেম্বর তদন্ত শুরু হয়। কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেন সিরাজ জানিয়েছেন, তদন্তের কাজ প্রায় শেষ। শুধু অধিনায়ক সাকিবের সাক্ষাৎকার বাকি। সেটা পেয়ে গেলে রিপোর্ট জমা দেবেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্বকাপ দলের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ, অফিসিয়াল ও সাপোর্ট স্টাফদের সাক্ষাৎকার থেকে হাথুরুসিংহে কর্তৃক নাসুমের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার সত্যতা মেলেনি। বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতার পেছনে কোচ বা একক কোনো ক্রিকেটারের দোষও দেখছে না তারা।
এনায়েত হোসেন সিরাজের কমিটির দুই সদস্য মাহবুবুল আমান ও আকরাম খান। পদাধিকার বলে সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী তদন্ত কমিটির সমন্বয়ক। তদন্তের জন্য বিগত ১০ দিনে সংশ্লিষ্ট প্রায় সবার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তারা। বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও ছিলেন তালিকায়।
এই তদন্ত নিয়ে এনায়েত হোসেন সিরাজ বলেন, ‘খুব সিরিয়াস কিছু না। বিশ্বকাপে খারাপ ফলের কারণ এবং মিডিয়ায় প্রচার পাওয়া এক-দুটা ইস্যু খতিয়ে দেখা হলো। আশা করি, দু-এক দিনের মধ্যে বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।’
জালাল ইউনুস, খালেদ মাহমুদ সুজন, ম্যানেজার রাবীদ ইমাম বা ক্রিকেটারদের কেউই তদন্ত কমিটিকে বলেননি কোচ নাসুমকে থাপ্পড় দিয়েছেন। তারা বলেছেন, কলকাতায় ম্যাচ দেখতে গিয়ে বিষয়টি শুনেছেন। টিম ডিরেক্টর সুজনও তার রিপোর্টে ঘটনার উল্লেখ করেননি।
তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘এখনই বিষয়টি খোলাসা করতে পারছি না। তবে এটুকু বলতে পারি, আমরা অস্বাভাবিক কিছু পাইনি।’ এনায়েত হোসেন বলেন, ‘দলের সঙ্গে যারা ছিল, তারা যা দেখেছে এবং শুনেছে, সেগুলোই বলেছে। তাতে কোনো সমস্যা তো দেখি না।’
খুলনা গেজেট/ টিএ