ভর্তি পরীক্ষায় হয়েছেন সেরা, পড়েছেন দেশসেরা মেডিকেলে। অথচ এক যুগ পর জানা গেল, মেধা নয় টাকার জোরে প্রশ্ন কিনে ভর্তি হয়েছিলেন তারা। সম্প্রতি সিআইডির জালে এক ইউপি চেয়ারম্যান, কোচিং সেন্টারের মালিক এবং ৫ চিকিৎসকসহ ৯ জন ধরা পড়লে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য বের হতে শুরু করে।
দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা মেডিকেল প্রশ্নফাঁস চক্রের অর্ধশত হোতার খোঁজ পায় বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেল। সেই তথ্যে ফের অভিযান শুরু করে সিআইডি।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেফতারে শহরের একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। সাজ্জাদ চক্রটির মাস্টারমাইন্ড জসীম উদ্দিন ভূইয়ার গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী।
কেবল ২০১০ সালেই নয় ২০১৩, ১৫ এবং ২০১৭ সালে মেডিকেল প্রশ্নফাঁসে জড়িত সাজ্জাদ। অনৈতিক উপায়ে ভর্তি করিয়েছেন উত্তরাঞ্চলের বহু শিক্ষার্থীকে। এদেরই একজন দিনাজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়সাল আহমেদ রাসেল।
সাজ্জাদ এবং রাসেলের দেয়া তথ্যে একে একে গ্রেফতার করা হয় পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সোহানুর রহমান, সৈয়দপুরের বীটস কোচিংয়ের পরিচালক আবদুল হাফিজ হাপ্পু, চিরিরবন্দরের ব্যবসায়ী রায়হানুল ইসলাম এবং তার বন্ধু বকুল রায় শ্রাবণকে।
চক্রটিতে জড়িত থাকায় ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ঢাকা মেডিকেল থেকে পাশ করা ডা. সাজ্জাদ আলম বাদশা, রংপুরের ডা. তৌফিকুল ইসলাম রকি এবং ডা. ইবরার আলম।
চ্যানেলটির অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তেরর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মেডিকেলে ভর্তির প্রশ্নফাঁসের খবর। এরপর চক্রটির মাস্টারমাইন্ডসহ ৪৮ জন গ্রেপ্তার হন, যাদের ২৩ জনই চিকিৎসক।
খুলনা গেজেট/ টিএ