আবহাওয়া চক্র অনুসারে এখনো শীতপূর্ব মৌসুম চলছে। তবে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে গত ৩ ডিসেম্বর তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১৩ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল। তার পরে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও আবার জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত।
আজ সোমবার সকাল ৬টায় বদলগাছীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অধিদপ্তরের মতে, ডিসেম্বরের গড় স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মিগজাউমের প্রভাবে বৃষ্টি বন্ধ হলেও আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, ঝড়ের রেশ এখনো রয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় তার সঙ্গে অতিরিক্ত আর্দ্রতা বয়ে নিয়ে আসে। সাধারণত রোদের প্রভাবে আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায় কিন্তু এবার এখনো তা হয়নি।
যে কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ছে। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে অন্য অঞ্চলগুলো।
সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান মজিবর রহমান জানান, ‘৯ থেকে ১১ ডিসেম্বর এই তিন দিন কুয়াশার কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার ও ইউএস বাংলার ফ্লাইট দেরি হয়েছে।’
মজিবর রহমান বলেন, ‘ফ্লাইট পরিচালনার জন্য দৃষ্টিসীমা (ভিজিবিলিটি) থাকতে হয় এক হাজার ৫০০ মিটার, সেখানে আজ সকালে ছিল ৫০ মিটার। যে কারণে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট আসতে পারেনি। সকাল থেকে তিনটি ফ্লাইট আসার কথা ছিল।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় যে ফ্লাইট সৈয়দপুরে পৌঁছানোর কথা ছিল, নভোএয়ারের সেই ফ্লাইট পৌঁছে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে। দৃষ্টিসীমা কম থাকায় গত রাতে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট বাতিল হয়।’
আজ সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ‘গত কয়েক দিন থেকেই মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আজ দিবাগত মধ্যরাতেও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে সকাল পর্যন্ত।’
পূর্বাভাস বলছে, মঙ্গলবার থেকে রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। বুধবার রাতের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তবে আজ সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
কবির বলেন, ‘চলতি সপ্তাহের শেষ ভাগে, অর্থাৎ ১৪-১৫ ডিসেম্বরের দিকে দেশের উত্তর-উত্তরপশ্চিম অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এসব এলাকায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসতে পারে।’
খুলনা গেজেট/এনএম