ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীতে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। দুপুরের পর কিছুক্ষণ রোদের দেখা মেলে। তবে আকাশে মেঘ ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই মেঘ দু-এক দিনের মধ্যে কেটে যাবে। এর পর জেঁকে বসবে শীত। এরই মধ্যে পঞ্চগড়ে ঘনকুয়াশা আর উত্তরের ঠান্ডা বাতাসে শীতের প্রকোপ বেড়েছে।
পঞ্চগড়ে শুক্রবার ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, মিগজাউমের প্রভাবে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে।
রাসেল শাহ জানান, ঘনকুয়াশা আর উত্তরের ঠান্ডা বাতাস শীতের প্রকোপ বাড়াচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে ছিল পুরো জেলা। সূর্যের মুখ দেখা গেলেও শীতের তীব্রতা ছিল।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে। উত্তরাঞ্চলে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যেতে পারে।
আরেক আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান জানান, ডিসেম্বরের শেষার্ধে মূলত শীতকালের শুরু। বৃষ্টিপাতের পরপর তাপমাত্রা হঠাৎ নেমে গেলে শীত অনুভূত হবে। তিনি বলেন, তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি যখন আকাশ মেঘমুক্ত হয়ে বায়ুমণ্ডল পুরোপুরি শুষ্ক হয়ে যাবে, তখন শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। এটা হতে কিছুটা সময় লাগবে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের দিকে একটা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।
সাধারণত ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে স্বস্তিদায়ক বোঝানো হয়। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের সময়কালকে শীতকাল হিসেবে ধরা হয়। শীতকালে ২ দশমিক ৬ থেকে শুরু করে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা নেমে গেলে সেটাকে শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
খুলনা গেজেট/ এএজে