বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা, খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম শিকদার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না–রাজিউন)। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) আনুমানিক রাত ১টায় অসুস্থ হয়ে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার গালুয়া বাজারে তার বোনোর বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃতুকালে তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৭১ বছর। মরহুমের জানাযা ৭ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় স্থানীয় ভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে সেখানেই দাফন করা হয়েছে। মৃতুকালে স্ত্রী ও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
আবুল কালাম শিকদার দৌলতপুর থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক এবং দীর্ঘদিন ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া দৌলতপুর এলাকায় শহীদ জিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় ভূমিকা পালনসহ একাধিক শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। অত্যন্ত সদালাপী সদা হাস্যেজ্ঝল সুবক্তা হিসেবে তার সুখ্যাতি ছিলো।
মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বাদ জুম্মা মহেশ^রপাশা শহীদ জিয়া কলেজ সংলগ্ন দারুস সালাম জামে মসজিদে পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক নেতাদের এক বিবৃতিতে মরহুমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলা হয়, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অত্যন্ত মানসিক চাপ ও সরকারের দমননীতি থেকে বাঁচতে বোনের বাড়িতে আত্মগোপন থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকাল থেকে রাজনীতি ও সামাজিক কাজে নিবেদিত প্রাণ আবুল কালাম শিকদার গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে সাহসী ভূমিকা পালনকারী কারা নির্যাতিত নেতা।
মরহুম আবুল কালাম শিকদার এর মৃত্যুতে গভীর শোক, শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সবেদনা এবং মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দরা হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং সাবেক সাধারন সম্পাদক ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনিসহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠণের নেতৃবৃন্দ।
খুলনা গেজেট/এইচ