জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে মেহেদী আলীসহ ১২ জন শ্রমিক নেতাকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
শুক্রবার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়।
দুপুরে প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের উদ্যোগে ‘গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যার বিচার, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ, দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, আন্দোলনে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি, কর্মচ্যুতদের কাজে পুনর্বহাল ও ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণার দাবিতে’ শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাব এলাকা থেকে শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মেহেদী আলীসহ ১২ জন শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে পুলিশ গ্রেপ্তার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা বলেন, সরকার পদত্যাগের একদফা দাবিতে যখন নেতৃবৃন্দরা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে তখন ক্ষমতাসীনরা মামলা, হামলা ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে শ্রমিক সমাজের মাঝে ভীতির সঞ্চার করতে শ্রমিক দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে গণহারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আর নেতাকর্মীদের কারান্তরীণ রেখে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়াকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবারও একতরফা নির্বাচন করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে চাচ্ছে।
তারা বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়ে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী তাদের গৃহপালিত কিছু রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে আবারও যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করতে এটি তাদের সুপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান। তবে এবার ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করতে দিবে না দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ। শ্রমিক-জনতা সম্মিলিতভাবে সরকারের সকল দুরভিসন্ধি নস্যাৎ করতে বদ্ধপরিকর। নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা যত বাড়বে বিরোধী নেতাকর্মী ও জনগণ আরও বলীয়ান হয়ে এই মাফিয়া সরকারকে বিতাড়িত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেই ঘরে ফিরবে।
শ্রমিক দল নেতৃবৃন্দরা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত মেহেদীসহ নেতাদের মুক্তির দাবি জানান। অন্যথায় পরিণাম ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
খুলনা গেজেট/ এএজে