মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করা টেকনোক্র্যাট কোটার দুই মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে। বুধবার সকালে তাদের পদত্যাগ কার্যকর করা হয়েছে বলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।
মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর ১৯ নভেম্বর টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা পদত্যাগপত্র জমা দেন। ২০১৮ সালে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা পদত্যাগ করলেও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা পদত্যাগ করেননি। এবার প্রধানমন্ত্রীর উপেদষ্টারাও পদত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হওয়ায় ২ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর ৭ উপদেষ্টাকে পদত্যাগপত্র জমা দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠি দিয়েছিল। এরপর তারা পদত্যাগ করেন।
এদিকে সরকার নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার আকার ছোট করার কথা ভাবছে বলে জানা গেছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এক মন্ত্রী এমন আভাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্য ৪৮ জন। এর মধ্যে ২৫ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী এবং ৩ জন উপমন্ত্রী। তিনজনের পদত্যাগের পর মন্ত্রিসভায় থাকবেন ৪৫ জন।
গত দুই নির্বাচনের আগে ছোট হয়েছিল মন্ত্রিসভার আকার। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টেকনোক্র্যাটসহ ৩০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টা পদত্যাগ করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও অনির্বাচিত মন্ত্রী ও উপদেষ্টারা পদত্যাগ করেন।
গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তপশিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, আর প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। প্রচারণা শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর, চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।
মন্ত্রিসভার যেসব সদস্য সংসদ সদস্য নন, তাদের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী বলা হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম