বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচিতে বাসে আগুন দেয়ার প্রসঙ্গে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের পক্ষ থেকে বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। তাদের (আওয়ামী লীগ) লোকজনও ধরা পড়ছে। কিন্তু তাদের ছেড়ে দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরে এনে দোষী প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশজুড়ে বিএনপি, সহযোগী সংগঠন এবং সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন চলছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে নির্বিচারে। বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের পক্ষ থেকে বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। তাদের (আওয়ামী লীগ) লোকজনও ধরা পড়ছে। কিন্তু তাদের ছেড়ে দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরে এনে দোষী প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, এই জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হওয়া এখন নাগরিক দায়িত্ব।
সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ আন্দোলনে শামিল হয়েছে। এই দেশে অতীতের ইতিহাসে দেখা গেছে, এখানে জুলুমকারী ও অন্যায়কারী বেশি দিন থাকতে পারে না।
রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা অত্যন্ত বীরত্বের সঙ্গে, সাহসিকতার সঙ্গে এবং দৃঢ় প্রত্যয়ে ধারাবাহিক অবরোধ কর্মসূচিকে সাফল্যমণ্ডিত করছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা রাস্তায় আছেন, দাঁড়াচ্ছেন এত প্রতিকূলতা এবং এত জুলুম নির্যাতন, একদিকে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, অন্যদিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তারা রাজপথে যেভাবে নেমেছেন। এটি একটি সাহস ও বীরত্বব্যঞ্জক ঘটনা। আর এই নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেও বিজয় রথ ইনশাল্লাহ একদিন লক্ষ্যস্থলে পৌঁছাবে, এই প্রত্যাশা আমি করছি।
তিনি আরো বলেন, সাহসের ওপর ভর করে এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে আসার আদর্শগত লড়াইয়ে তারা আছেন। তারা কোনো ভোগ-বিলাস, তারা কোনো অর্থ-কড়ির জন্য এই কর্মসূচি করছে না। তারা কর্মসূচি করছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য ।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনের ৪১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আহত হয়েছে ১০০ জন এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৭টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৯২০ জনকে।
খুলনা গেজেট/ এএজে