খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

জাহানারার চোখ শিরোপায়, সুযোগে উচ্ছ্বসিত সালমা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ভারতের উইমেন্স টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করতে কিছুদিনের মধ্যেই উড়াল দেবেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সালমা খাতুন ও জাহানারা আলম। গত বছর জাহানারা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেও এবার সালমা প্রথমবার খেলতে যাচ্ছেন।

গত বছরের মতো এবারও ভেলোসিটি দলের হয়ে খেলবেন জাহানারা। সালমার দল ট্রেইলব্লেজার্স। ‘মেয়েদের আইপিএল’ হিসেবে এ প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠিত করতে চায় বিসিসিআই। এজন্য সব দেশের ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ এবং জমকালো আয়োজনে টুর্নামেন্ট পরিচালনা করে ভারত। ৪ থেকে ৯ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে এ টুর্নামেন্ট।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে মাঠে নেমেছেন দুই টাইগ্রেস। বিসিবিও তাদের অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। অনুশীলনের ফাঁকে দুই ক্রিকেটার সংবাদ মাধ্যমকে মেয়েদের আইপিএলে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানান।

জাহানারা আলম

প্রত্যাশিত সুযোগ

‘প্রতি বছর এরকম একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন হবে সেটা আগেই জানা ছিল। গত বছর আমি প্রথম খেলেছি। যুতসই পারফরম্যান্স ছিল। দলের প্রত্যেকে, কোচ আমার পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছিল। বুঝতে পারছিলাম হয়তো আমার উপর আবার আস্থা রাখবে। সেটি-ই হয়েছে।’

ছাড়িয়ে যেতে চান নিজেকে

‘গতবার ফাইনালে জোড়া উইকেট পেয়েছিলাম। আগের ম্যাচে উইকেট না পেলেও বোলিং ছিল নিয়ন্ত্রিত। সব মিলিয়ে ভালো সময় কেটেছিল। খুব আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলাম। এবার সেই আত্মবিশ্বাস আরো বেড়েছে। এবার ভালো করার ক্ষুধাও বেড়েছে। নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই যেতে চাই সেখানে। গতবার ফাইনাল খেলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। এবার লক্ষ্যই থাকবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।’

প্রস্তুতিতে নেই কমতি
দীর্ঘদিন ধরেই একাকী অনুশীলন করছি। সেটা খুব ফলপ্রসূ না হলেও কাজে দিয়েছে। প্রতিযোগিতায় নিজের নাম আসার পর নিয়মিত অনুশীলন করছি। জ্যাকি স্যার (বিসিবির কোচ মাহবুব আলী) আমাদের দায়িত্ব নিয়েছেন। তার অধীনে চলছে ট্রেনিং। প্রস্তুতি নিচ্ছি শতভাগ। সেখানে গিয়েও কাজ করা হবে। সব মিলিয়ে সময়টা এখন দারুণ কাটছে।’

বিশ্বকাপের আবহ

‘প্রথমবার অংশগ্রহণ করে মনে হয়েছে টুর্নামেন্টটি অনেক বড় মঞ্চ। প্রায় বিশ্বকাপের আবহ পাওয়া যায়। বিশেষ করে যখন ভালো খেলার চাপ থাকে তখন মনে হয় এটা বিশ্বকাপের মতোই। বিভিন্ন দেশ থেকে খেলোয়াড়রা অংশ নেন। আয়োজকদের আয়োজন, খেলোয়াড়দের পেশাদারিত্ব, খেলার প্রতি তাড়ণা, ট্রেনিং সেশন সব কিছু মিলিয়ে অসাধারণ পরিস্থিতির তৈরি হয়। এজন্য টুর্নামেন্টটি বিশ্বকাপের মতো উদ্দীপনা দেয়।’

সালমা খাতুন

সুযোগে উচ্ছ্বসিত

‘আমার জন্য টুর্নামেন্টটি অনেক বড় সুযোগ। আমার ক্যারিয়ার দীর্ঘদিনের। এ সময়ে অনেক দেশের বিপক্ষে খেলেছি। প্রায় সব দেশের ক্রিকেটাররাই আমাকে চেনেন। বাংলাদেশ দলের অধিনায়কও আমি। এবার সুযোগ এসেছে সব দেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার। এটাই সত্যিই গর্ব করার মতো বিষয়।’

সর্বোচ্চ চেষ্টার প্রতিশ্রুতি

‘গতবার জাহানারা ভালো করেছে। ওর উপরে পুনরায় আস্থা রেখেছে। আমিও এবার নিজের সর্বোচ্চটা নিংড়ে দিতে চাই। আমরা দুইজনই যদি ভালো করি পরবর্তীতে আমাদের আরো ক্রিকেটারের সুযোগ হবে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো নিজের পারফরম্যান্স ফুটিয়ে তুলতে। সেটা ব্যাটিংয়েও, বোলিংয়েও।’

শেখার শেষ নেই

দীর্ঘদিনের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে রয়েছে অনেক প্রাপ্তি। আবার রয়েছে অপ্রাপ্তি। সব সময় চেষ্টা থাকে ভালো খেলার, নতুন কিছু শেখার। জাতীয় দলে খেলে সব সময় চেয়েছি নিজেদের দেশের পতাকা তুলে ধরতে। এখানেও চেষ্টা থাকবে নিজের দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে। পাশাপাশি বড় ক্রিকেটারদের থেকে শিখতে চাই। সেখানে অনুশীলনে তাদের সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করতে চাই। দেখে শিখতে চাই।

খুলনা গেজেট/এএমআর




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!