দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের চালানো হামলায় গাজায় প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন শত শত মানুষ। ইসরায়েলিদের হামলায় এখন মৃত্যুপুরীতের পরিণত হয়েছে ছোট্ট এ উপত্যকা।
তবে সৃষ্টিকর্তা যদি বাঁচিয়ে রাখে তাহলে কার সাধ্য মেরে ফেলার? তেমনই ঘটনা ঘটেছে গাজার তিন বছরের শিশু আহমাদ সাবাতের ক্ষেত্রে। দখলদার ইসরায়েলিদের হাতে তিনবার হামলার শিকার হয়েছে সাবাত। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনো বেঁচে আছে সে। যদিও ইসরায়েলিদের হামলায় বাবা-মা, ভাই-বোন, চাচাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হারিয়েছে সে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর প্রথম হামলার শিকার হয় আহমাদ সাবাত। ওইদিন নিজের বাবা ও চার ভাইবোনকে চিরতরে হারায় সে।
এরপর তাকে দেখাশুনার দায়িত্ব নেয় তার বাবার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তারা গাজার রাদওয়ান বিভাগে চালানো ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারান। এ যাত্রায়ও বেঁচে যায় সাবাত।
ওই হামলার পর বেঁচে যাওয়া এক চাচার সঙ্গে সাবাতকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরএডব্লিউ নুসেরাত শরণার্থী ক্যাম্পের একটি স্কুলে নিয়ে যায়। সেখানেও বিমান হামলা চালায় বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী। ওই হামলায় সাবাতের চাচা নিহত হয় এবং সে পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
বর্তমানে দেইর-এল-বালাহর আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে রয়েছে সাবাত। সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছে সে। তবে নির্বিচার হামলা অব্যাহত রাখা সাবাত যে আবারও হামলার শিকার হবে না এ নিশ্চয়তা দিতে পারে না কেউ।
খুলনা গেজেট/ টিএ