প্রধানমন্ত্রীর কাছে নাভারণ -সাতক্ষীরা- মুন্সিগঞ্জ রেললাইনসহ ২১ দফা দাবি জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ। শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই দাবি জানানো হয়।
জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সরকারী মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আব্দুল ওয়াহেদ, সাতক্ষীরা সরকারী মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. দিলারা বেগম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কিশোরী মোহন সরকার, জেএসডি নেতা সুধাংশু সেখর সরকার, জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জেলা বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিশ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন, উন্নয়ন কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আবু আফনান রোজ বাবু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন, উদীচীর জেলা সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, উন্নয়ন কর্মী এড, মুনির উদ্দীন, জিএম মনিরুজ্জামান, জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি এড. আল মাহামুদ পলাশ, বাসদ নেতা আবু তালেব মোল্লা, জাসদ নেতা দিদারুল আলম হেলাল, জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি কওসার আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, নদী ও বন রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবলু, সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সভায় সম্প্রতি জাতীয় সংসদে “সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন”, বর্তমান সরকারের মেয়াদকালের শেষ একনেকের সভায় “সাতক্ষীরা-সখিপুর-কালীগঞ্জ মহাসড়ক এবং কালীগঞ্জ-শ্যামনগর-ভেটখালী মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প” অনুমোদন হওয়ায় এবং কালিগঞ্জের বসন্তপুর নৌ বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের প্রক্রিয়া গ্রহণ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী ও কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় রাজনীতিবীদ ও জনপ্রতিনিধিদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। সভায় আগামী শিক্ষাবর্ষে সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর লক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অন্যান্য প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে স্থানীয় রাজনীতিবীদ জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমান সরকারের আমলে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল বিশেষ করে সাতক্ষীরা জেলায় সেই উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে তুলনামূলকভাবে খুবই কম। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য বিভিন্ন কারনে সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় এলাকায় সরকার গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো টেকসই না হওয়ায় এই এলাকা এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তাছাড়া পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরও সাতক্ষীরা জেলা পদ্মা সেতুর এপারের সবচেয়ে দুরবর্তী জেলা। ফলে রাজধানী ঢাকার সাথে সাতক্ষীরা জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে রেললাইনের কোন বিকল্প নেই।
এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার উন্নয়ন টেকসই করার স্বার্থে পৃথক উপকূলীয় বোর্ড গঠন এবং বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ এখন সময়ের দাবী।
সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত নাভারন-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন স্থাপনসহ সাতক্ষীরার উন্নয়নে ইতোমধ্যে সরকার গৃহীত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন এবং সাতক্ষীরার উন্নয়নে নাগরিক কমিটির ২১ দফা দাবীর বিষয়টি আগামী ১৩ নভেম্বর খুলনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকালে উপস্থাপনের জন্য জেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহবান জানানো হয়।
খুলনা গেজেট/ এএজে