ফিলিস্তিনের গাজায় হাসপাতালে চালানো ভয়াবহ হামলার রেশ না কাটতেই এবার ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থীশিবিরে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার রাতে জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে চালানো হামলায় অর্ধশতাধিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৬ দিনে প্রায় ৮ হাজার ৮০০ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ফিলিস্তিনিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
মঙ্গলবার রাতে উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে গাজায় আল-জাজিরার ব্যুরো অফিসের সম্প্রচার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু আল-কুমসানের পরিবারের ১৯ সদস্যও রয়েছেন।
এদিকে এ হামলার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই গতকাল বুধবার আবারও জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে এখন সেখানেও একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে।
উত্তর গাজায় ঢুকে পড়া ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে হামাসসহ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনগুলোর যোদ্ধাদের। এতে হামাসের বিভিন্ন স্তরের কয়েক শ যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে সেখানে মঙ্গল ও বুধবার ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন বলেও স্বীকার করেছে দেশটি। এদিকে ইসরায়েল বলেছে, তারা এ পর্যন্ত হামাসের ১১ হাজার লক্ষ্যস্থলে হামলা চালিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর এ পর্যন্ত গাজায় ৮ হাজার ৭৯৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৩ হাজার ৬৪৮ জন শিশু আর ২ হাজার ২৯০ জন নারী। নিয়মিত ব্রিফিংয়ে গতকাল গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ২২ হাজারের বেশি।
হামলায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপে এখনো ২ হাজার ৩০ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ২০ জন শিশু। হামলার ব্যাপকতা বাড়ায় জীবিতদের উদ্ধারে এখন জোর দিচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।