করোনা সংক্রমণ ও মানুষের আগ্রহ না থাকায় এ বছর জেলায় কোরবানীর পশুর হাটের সংখ্যা কমে গেছে। খুলনার ৯টি উপজেলায় এবার ২৪টি পশুর হাট বসছে। গতবছর ৯টি উপজেলায় ২৯টি পশুর হাট বসেছিল। সামাজিক দূরত্ব মেনে হাট পরিচালনার জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে খুলনা জেলা পুলিশ।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে জানা গেছে, খুলনায় বর্তমানে ৬ হাজার ৮৯০টি গবাদীপশুর খামার রয়েছে। এসব খামারে ৪৫ হাজার ৫৮১টি বিক্রয়যোগ্য কোরবানীর পশু রয়েছে। এর মধ্যে ২৮ হাজার ৩৯২টি গরু ও মহিষ এবং ১৬ হাজার ৭৯৯টি ছাগল ও ভেড়া। কোরবানীর হাট ছাড়াও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে পশু বিক্রির পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।
গরু ব্যবসায়ী ও খামারীরা জানান, প্রতিবছর কোরবানী ঈদের ২০/২৫ দিন আগ থেকেই গরুর হাট শুরু হয়। কিন্তু এবার হাট চালুর কোনো তৎপরতা না থাকায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছিলেন তারা। দেরিতে হলেও হাট চালুর উদ্যোগ নেওয়া তারা খুশি।
খুলনা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আবদুর রশিদ জানান, জেলার ৯ উপজেলায় এবার মোট ২৪টি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী হাট ১১টি, অস্থায়ী হাট ১৩টি। এসব হাটের মধ্যে রূপসায় ৪টি, ফুলতলায় ১টি, পাইকগাছায় ৪টি, ডুমুরিয়া ৫টি, তেরখাদায় ১টি, দিঘলিয়ায় ৩টি, দাকোপে ২টি, কয়রায় ৩টি ও বটিয়াঘাটায় ১টি পশুর হাট বসবে।
জেলার উল্লেখযোগ্য হাটগুলের মধ্যে রয়েছে রূপসা উপজেলার আলাইপুর হাট, খাজাডাঙ্গা হাতেমতলা হাট, আমতলা দুর্জনী মহল হাট ও পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ড; ফুলতলা উপজেলা সদর হাট; ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া, শাহপুর, আঠারো মাইল, চুকনগর ও বানিয়াখালী হাট; পাইকগাছা উপজেলার বাকা, চাঁদখালী, গদাইপুর, কাছিকাটা; দাকোপ উপজেলার বাজুয়া ও চালনা; কয়রা উপজেলার বামিয়া, ইসলামপুর ও দেউলিয়া; দিঘলিয়া উপজেলার এম এম মজিদ কলেজ মাঠ, মোল্লা জালাল উদ্দিন কলেজ মাঠ, পথেরবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়; তেরখাদা উপজেলার ইখড়ি কাটেঙ্গা; বটিয়াঘাটা উপজেলার বাইনতলা।
এছাড়া খুলনা মহানগরীর জোড়াগেট এলাকার কোরবানির পশুরহাট চালুর প্রস্তুতি শুরু করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)।