শুক্রবার । ৩রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩২

বেড়েছে মরিচ ও পেঁয়াজের ঝাঁঝ, চড়া মাছের বাজার

এস এস সাগর, চিতলমারী

বাগেরহাটের চিতলমারীতে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। শীতকালিন সবজি বাজারে আসায় নিম্নমুখি সবজির দর। তবে বেড়েছে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, আলু ও কচুরমুখির দাম। মাছের বাজার বেশ চড়া। তাই কম আয়ের মানুষ মাছ কিনতে না পেরে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা সদর বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত দুইদিন আগে এখানে প্রতি কেজি শিম ছিল ২০০ টাকা, যা বর্তমানে ১৬০ টাকা, বেগুন ছিল ১২০ টাকা, বর্তমানে ৮০-৭০ টাকা, ফুলকপি ছিল ১০০ টাকা, বর্তমানে ৭০ টাকা, মুলা ছিল ৮০ টাকা, বর্তমানে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ছিল ৫০ টাকা, বর্তমানে ৩০ টাকা, পুঁই শাক ও লাল শাক আটি ছিল ৩০ টাকা বর্তমানে ২০ টাকা, বরবটি ছিল ৬০ টাকা, বর্তমানে ৪০ টাকা, পেঁপে ছিল ৪০ টাকা, বর্তমানে ২৫ টাকা এবং লাউ প্রতি কমেছে ২০ টাকা।

তবে এ গুলোর দাম কমলেও বেড়েছে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, আলু ও কচুরমুখির দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১০-২০ টাকা। এখানে (বৃহস্পতিবার) প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা, কচুরমুখি ৮০ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে মাছের দাম বেশ চড়া। ছোট-বড়, খালের-বিলের, চাষের ও নদীর যে ধরণের মাছই হোক সবই নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তাই তাঁরা মাছ কিনতে না পেরে অনেকেই খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন।

চিতলমারীর কুরমনি গ্রামের ভ্যান চালক অসিত বিশ্বাস, সুরশাই গ্রামের আলী আকবর, ঘড়ির মেকার রুহুল আমিন মিঠু বিশ্বাস ও বাজারের বুট পালিশওয়ালা রতন দাস বলেন, ‘মাছ-তরকারি কিনতে গেলে কান্না আসে। যা আয় করি চাল ও তেল কেনার পার আর হাতে তেমন টাকা থাকে না। মাছ কিনব কি ভাবে।’

চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোঃ তায়ফুর রহমান, মোঃ ফারুক, মিজানুর রহমান, মোঃ আজিজুল শেখ, মোঃ সমিরুল ইসলাম, অহিদ মোল্লা, শওকাত হোসেন ও আকবর আলী জানান, শীতকালিন সবজি বাজারে আসায় অনেক তরকারির দাম কমেছে। আবার পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ও আলুসহ কিছু সবজির দাম বেড়েছে।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন