বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে বাগেরহাটে গুমট আবহাওয়া বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (২৪অক্টোবর) সকাল থেকে সূর্যের দেখা নাই উপকূলে। তবে ঘূর্নিঝড় হামুনের প্রভাবে জেলার কোথাও ঝড় ও বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়নি। যান চলাচল ও মানুষের জীবন যাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন মাছ চাষীরা। ঘেরের পাড় মেরামত ও টেন টানাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে মোংলা বন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে মোংলা বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মোঃ আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ঘূর্নিঝড় হামুনের তেমন কোন প্রভাব মোংলা বন্দরে পড়েনি। বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরের জেটিতে কোন জাহাজ নেই। এ্যাঙ্করেজ এলাকায় ৬টি জাহাজ রয়ছে। লাইটার জাহাজগুলোকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্নিঝড় উপলক্ষে মোংলা বন্দরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে।
অন্যদিকে ঘূর্নিঝড় হামুনের আঘাত হানার খবরে জেলা প্রশাসন ও জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে জরুরি সবা করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাঃ খালিদ হোসেন। সভায় বাগেরহাট জেলা পুলিশ, সিভিল সার্জন, কোস্টগার্ড, সুন্দরবন বন বিভাগ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিক, বিভিন্ন এনজিও ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে মোংলা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ৫ নম্বর সংকেত দেখানো হয়েছে। একটি গুমট আবহাওয়া বিরাজ করছে। না রোদ, না বৃষ্টির মত অবস্থায়। তবে যেকোন সময় বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলে মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, জেলার সকল আশ্রয়কেন্দ্র গুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে পর্যাপ্ত আলো, পানি ও শুকনো খাবারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ১০টি মেডিকেল টিম, প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া বেড়িবাঁধের বাইরের বসতি ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকদের যথাসময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আবহাওয়ার পরিস্থিতি ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এনএম