বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি তাতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে একদলীয় অবস্থা প্রতিষ্ঠা হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল আরেকটি রাজনৈতিক দলকে বিশ্বাস করে না। আজ স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে ভাবতে হয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এ মন্তব্য করেন। গণতন্ত্র রক্ষা ও একদফা দাবি আদায়ে মরহুম সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির ভূমিকা-শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ এমন একটা দল, যারা সবসময় জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। এরা নির্বাচনের আগে সুন্দর সুন্দর কথা বলে, জনগণকে এমনভাবে আকৃষ্ট করে, এরপর তারা ভোট দেয়। কিন্তু নির্বাচনের তিন মাস পর তাদের (আওয়ামী লীগ) সেই চিরাচরিত চরিত্র ফুটে ওঠে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ এমনভাবে কথা বলে, দেশটা যেন তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। তারা ভাবে, এটা আমার, তুমি আবার এর মধ্যে নাক গলাও কেন!
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি (কাদের) শেষ বার্তা দিয়েছেন আগামী নির্বাচনে প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকবেন, তিনি আবার নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী হবেন। যদি জানেন আপনারা জয়ী হবেন এবং শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী হবেন তবে ভোট করার দরকার কী?
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাকি আজিমপুর কবরস্থানে পাঠিয়ে দিয়ে কবর দেয়া হয়েছে। যদি এই ব্যবস্থা কবরই দেবেন তাহলে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে এত মানুষকে হত্যা করলেন কেন?
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ফখরুল বলেন, এখনো সময় আছে সেফ এক্সিট নেন, পদত্যাগ করে সরে গিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন। নতুবা জনগণের আন্দোলনে আপনাদের করুণ পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন- জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত হোসেন, বিকল্পধারার অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, মাইনরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি মন্ডল প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ টিএ