বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে প্রথম জয় পেয়েছে তামিম একাদশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নাজমুল একাদশকে ৪২ রানে হারিয়েছে দলটি। মেহেদি হাসানের ব্যাটিং ঝলকের পর পেসার শরিফুল ইসলাম নেন দলের হয়ে ৪টি উইকেট। নাজমুল একাদশের ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও নাজমুল একাদশের জয়ের স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছিলেন মুশফিকুর রহিম। দুইদিনের দুটি প্রসুতিত ম্যাচ এবং প্রথম একদিনের ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া এই ব্যাটসম্যান এদিন সেঞ্চুরি তুলে নিয়েও দলকে জয়ের বন্দরে নিতে পারেননি।
সতীর্থরা উইকেটে টিকে থাকতে না পারলেও সপ্তম উইকেটে ইরফান শুক্কুরকে নিয়ে জুটি গড়েছিলেন ৬০ রানের। কিন্তু ২৪ রানে আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান শুক্কুর রান আউট হয়ে ফিরলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাওয়ার কাজটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় মুশফিকের জন্য। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর শুক্কুরকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে থাকা মুশফিক সঙ্গীর বিদায়ে লড়াই করেছেন একাই। রিশাদ হোসেন এবং নাঈম হাসানও শরিফুলকে দ্রুত উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে ফিরেছেন। ৬১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তাসকিনকে সঙ্গে নিয়ে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করেন ১০৩ বলে। তবে মুস্তাফিজকে ফিল্ডারের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে শেখ মেহেদির হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। এতেই অনেকটা শেষ হয়ে যায় নাজমুল একাদশের। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তাসকিন আহমেদকে বিদায় করেন সাইফউদ্দিন। ফলে ৪২ রানের জয় তুলে নেয় তামিম একাদশ। এই জয়ে তিন দলই একটি করে ম্যাচ জিতল এখন।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে মাহেদি হাসানের লড়াকু হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রানের পুঁজি গড়েছে তামিম একাদশ। এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তামিমদের। মাত্র ৮ রান করে আল আমিন হোসেনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন দলটির ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। এরপর দলের হাল ধুরতে ব্যর্থ হয়েছেন এনামুল হক বিজয় এবং মোহাম্মদ মিঠুন।
মাঝে তিনটি জুটি বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিলেও স্কোর বড় করতে পারেননি। তবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দলের সংগ্রহ ২০০ পার করেন মেহেদী হাসান। ৩ ছক্কা আর ৯ চারে ৫৭ বলে ৮২ রান করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এএমআর