২৪৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় নিউজিল্যান্ড। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন রাচিন রবীন্দ্র। পরে ডেভন কনওয়েকে নিয়ে খেলা ধরেন কেন উইলিয়ামসন। তাতে এগিয়ে যায় কিউরা। তাদের চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে ১ উইকেটেই ৯২ রান তুলে ফেলে তারা।
এ পরিস্থিতিতে ডেভনকে (৫৪) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। পরে উইলিয়ামসনের সঙ্গে জোট বাঁধেন ড্যারিল মিচেল। ধীরে ধীরে জুটি গেড়ে তোলার চেষ্টা করেন তারা। সেই সঙ্গে রান তোলার গতিও ঠিক রাখেন। পথিমধ্যে ফিফটি তুলে নেন দুজনই। ফলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তবে সূচনাতেই ধাক্কা খায় টাইগাররা। দলীয় স্কোরবোর্ডে কোনও রান না উঠতে ফিরে যান লিটন দাস। পরে তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
কিন্তু দলগত ৪০ রানে তামিম ফিরতেই বিপাকে পড়ে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। দ্রুত বিদায় নেন মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তও। এতে ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরে সাকিব ও মুশফিক দলের হাল ধরেন। একপর্যায়ে দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। এতে টাইগারদের রানের চাকাও বন বন করে ঘুরতে থাকে।
কিন্তু হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলেন সাকিব। ব্যক্তিগত ৪০ রান করে লকি ফার্গুসনে শিকার হন তিনি। তাতে মুশফিকের সঙ্গে ৯৬ রানের জুটি ভাঙে তার। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিকও। ম্যাট হেনরির বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের ফেরেন তিনি। ইতোমধ্যে ক্যারিয়ারে ৪৮তম ফিফটি (৬৬) তুলে নেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
পরক্ষণেই বিদায় নেন তাওহিদ হৃদয়। ফলে আবার বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মিচেল স্যান্টনারের ঘূর্ণির ফাঁদে পড়েন তাসকিন আহমেদ। সেই রেশ না কাটতেই সাজঘরে যান মুস্তাফিজুর রহমান। একে একে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষদিকে দারুণ ঝলক দেখান তিনি।
২টি করে চার-ছক্কায় ৪১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন সাইলেন্ট কিলারখ্যাত মাহমুদউল্লাহ। অপর প্রান্তে ২ রানে অপরাজিত থাকেন শরিফুল ইসলাম। তাতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৫ রান তুলতে সক্ষম হয় সাকিব বাহিনী।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে বাংলাদেশ ব্যাটারদের ওপর ছড়ি ঘোরান ফার্গুসন। তিনি তুলে নেন ৩ উইকেট। তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দেন ম্যাট হেনরি ও ট্রেন্ট বোল্ড। তারা বগলবন্দি করেন ২টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউজিল্যান্ড ৪২.৫ ওভারে ২৪৮/২ (মিচেল ৮৯*, ফিলিপস ১৬*, উইলিয়ামসন ৭৮ রি/হা, কনওয়ে ৪৫, রাচিন ৯)
বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২৪৫/৯ (মাহমুদউল্লাহ ৪১*, ২*, মোস্তাফিজ ৪, তাসকিন ১৭, মুশফিকুর রহিম ৬৬, তাওহীদ হৃদয় ১৩, লিটন ০, তানজিদ হাসান ১৬, মেহেদী হাসান ৩০, নাজমুল হোসেন শান্ত ৭, সাকিব আল হাসান ৪০)
খুলনা গেজেট/কেডি