এ কী হলো অস্ট্রেলিয়ার! লখনৌর একানা স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) তারা হার মেনেছে ১৩৪ রানের ব্শিাল ব্যবধানে। বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচ হেরে অনেকখানি ব্যাকফুটে চলে গেল অজিরা। অজিদের এমন নিদারুণ হারে স্বাভাবিকভাবেই নানা ভাবনার উদয় হচ্ছে। অজিরা কি হতশ্রী দশার মধ্যে আটকে আছে নাকি প্রোটিয়াদের দুরন্ত ফর্ম আর ধারাবাহিকতার কাছে নত স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে।
এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বড় গলা করে বলেছিলেন ‘হাই স্কোরিং’ ম্যাচ হবে এটি। অনায়াসেই তিনশ পেরোনো লড়াই দেখা যাবে। লখনৌর মাঠটির অতীত অভিজ্ঞতাও তাই বলে। কামিন্সের কথাকে বাস্তবে রূপ দেন প্রোটিয়া ব্যাটসমানরা। রুদ্র মেজাজে রান তুলতে থাকেন তারা। শেষ ১০ ওভার ৪ উইকেট হারিয়ে রানের গতিতে ভাটা পড়ে। তারপরও ৫০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৩১১ রানের।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা পুনরাবৃত্তি করেন প্রথম ম্যাচে দেখানো বাজে ফর্মের। সেই ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১৯৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল তারা। ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভ স্মিথের চল্লিশোর্ধ ইনিংস ছাড়া আরো কারো ব্যাট হাসেনি। গতকাল হলো আরো শোচনীয় অবস্থা। ৩১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থেমে যায় মাত্র ১৭৭ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার এই সংগ্রহের মধ্যে ৪৬ রান এসেছে শুধু মারনাস লাবুশেনের ব্যাট থেকে। লাবুশেন ছাড়া অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং লাইন আপের প্রথম ৬ ব্যাটসম্যানের সম্মিলিত সংগ্রহ মাত্র ৫২ রানের। এর মধ্যে দুই অঙ্কের দেখা পেয়েছেন শুধু দুজন। সেই ওয়ার্নার আর স্মিথ।
প্রোটিয়া কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্স নিজের উত্তরসূরীদের ‘আহত’ অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে সাবধানী হতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। সঙ্গে দিয়েছিলেন অজিদের বিপক্ষে সফলতা পাওয়ার টোটকা, শুরুতেই উইকেট নিয়ে চাপে ফেলে দিতে। সেই কাজটাই যথার্থভাবে সম্পন্ন করে প্রোটিয়া পেস ইউনিট।
খুলনা গেজেট/কেডি