বাগেরহাটের চিতলমারীতে দুইপক্ষের সংঘর্ষে হিজলা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্যসহ উভয়পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ওই নারী ইউপি সদস্য বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাত ১০ টায় উপজেলার শান্তিপুর গ্রামের মুনিপাড়ায় এ সংঘর্ষ ঘটে। রাতেই আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পুলিশ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীণ।
হিজলা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য ঝর্ণা বিশ্বাস (৪০) বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবেশী ধনঞ্জয় বিশ্বাস ওরফে ধনু, স্বপ্না বিশ্বাস ওরফে বিদেশী, বাচ্চু শেখ, মামুন শেখ, বেল্লাল শেখ ও দিপক বিশ্বাসসহ বেশ কয়েকজনের সাথে আমার বিরোধ চলে আসছিল। এরজের ধরে মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার শান্তিপুর গ্রামের মুনিপাড়ায় বাড়ির সামনে উক্ত ব্যাক্তিরা আরও ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। হামলায় আমি ও আমার স্বামী দিলীপ বিশ্বাস (৪৮) গুরুতর আহত হয়েছি।’
ধনঞ্জয় বিশ্বাস ওরফে ধনু বলেন, ‘বাচ্চাদের মারামারিকে কেন্দ্র করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে ঝর্ণার লোকজন আমার ভাই দিপক বিশ্বাস (৫০) ও ভাইয়ের বউ কমলা বিশ্বাসকে (৪০) মারপিট করে আহত করেছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’
হিজলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবু সাহিন বলেন, ‘বাবুগঞ্জ বাজার এলাকায় ধনঞ্জয় বিশ্বাস ওরফে ধনুর নেতৃত্বে একটি মাদক বিক্রি ও নকল সোনা চোরাচালান চক্র ব্যবসা করে আসছে। এর প্রতিবাদ করায় ধনু চক্র ঝর্ণার উপর এ নগ্ন হামলা চালিয়েছে। আমারা হিজলা ইউনিয়ন পরিষদ এবং হিজলাবাসী ন্যাক্কারজনক এই হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার দাবি করছি।’
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান জানান, পুলিশ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঝর্ণা বিশ্বাস একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
খুলনা গেজেট/কেডি