বাগেরহাটের চিতলমারীতে লিয়া আক্তার পুুতুল (১৫) নামের এক কিশোরীকে বেকারীর চুল্লির মধ্যে থেকে হাত-পা ও মুখ বাধা অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। সোমবার (৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার বড়বাড়িয়া গাংপাড় গ্রামের পলাশ শেখের বেকারীর চুল্লির মধ্যে থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। লিয়া আক্তার বড়বাড়িয়া গাংপাড় গ্রামের মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের ছোট মেয়ে ও জি.বি.ডি. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। আহত কিশোরী বর্তমানে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে লিয়া আক্তার পুুতুলের বাবা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রতিবেশীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সেই সূত্র ধরে প্রতিপক্ষরা সোমবার রাতে তার মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা হাত-পা ও মুখ বেধে পলাশ শেখের বেকারীর চুল্লির মধ্যে লুকিয়ে রাখে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ের পুলিশ ও এলাকাবাসি বেকারীর চুল্লির মধ্যে থেকে হাত-পা ও মুখ বাধা এবং সারা শরীরে কেরোসিন দেওয়া অবস্থায় লিয়া আক্তার পুুতুলকে উদ্ধার করে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।
চুল্লির মালিক পলাশ শেখের ভাই মিরাজ শেখ সব অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, ‘ওদের সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। অন্য শরীকদের সাথে বিরোধ রয়েছে।’
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মোঃ মামুন হাসান বলেন, ‘সোমবার রাতে গুরুতর অবস্থায় ওই কিশোরীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। আমরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তার শরীরের সুস্থ্যতার উপর নির্ভর করে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে। কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে বেঁধে রাখার অভিযোগ, তাদের সাথে ওই কিশোরীর পরিবারের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। সব বিষয় মাথায় রেখে আসলে বিষয়টি কি ঘটেছে, তা আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি। এছাড়া ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’
খুলনা গেজেট/এমএম