বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অতীতের মতো সরকার আবারো একতরফা নির্বাচনের জন্য একটা বাগান সাজিয়েছে। কিন্তু এবার জনগণ ও বিশ্ব সম্প্রদায় এদের সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ। জাতি আজ একটা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীতে এক কনভেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ও গণতান্ত্রিক পেশাজীবী ঐক্য পরিষদ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন এক কনভেশনের আয়োজন করে। এতে ২২টি পেশাজীবী সংগঠন এই কনভেনশনে অংশ নেয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন দিল্লি আছে আমরাও আছি। দিল্লি কি বলেছে অবৈধ নির্বাচন করতে? পরিষ্কার করে বলুন।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, বিএনপি দুই বছর ধরে রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে, এবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কেউ আঘাত করলে বিএনপি প্রত্যাঘাত করবে না এমনটা নয়। এই আন্দোলন বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য বা খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য নয়, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া স্পষ্ট করে বলেছেন, গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোনো আপস নেই। কোনো শর্ত মেনে বিদেশে যাবেন না খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী আইনের ভুল ব্যাখা দিচ্ছেন। ৪০১ ধারায় সরকারের ক্ষমতা আছে দণ্ড মওকুফ করে বিদেশ পাঠানোর, সরকারই পারে সে ব্যবস্থা করতে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসায় বাধা দেয়ায় প্রমাণ করে তাদের মূল লক্ষ্য খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে চায় সরকার, তাই তাকে বিদেশ যেতে দিচ্ছে না।
নির্বাচন নির্বাচন করে এবার কোনো লাভ নেই। আগে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন, এরপর নির্বাচনের কথা আসবে পরিষ্কারভাবে জানান মির্জা ফখরুল।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ টিএ