গত বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্টের লড়াইয়ে আবার জিতল ফ্রান্স। ঘরের মাঠে দারুণ লড়াই করল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু ভাগ্য বদল করতে পারল না। উয়েফা নেশন্স লিগে তাদের হারিয়ে জয়ে ফিরল দিদিয়ে দেশমের দল।
ক্রোয়েশিয়ায় বুধবার রাতে ‘এ’ লিগের ৩ নম্বর গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে ফ্রান্স। অঁতোয়ান গ্রিজমান শুরুতে সফরকারীদের এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরান নিকোলা ভ্লাসিচ। শেষ দিকে গোল করে দলকে তিন পয়েন্ট এনে দেন কিলিয়ান এমবাপে।
দুই দলের প্রথম দেখায় ঘরের মাঠে ৪-২ গোলে জিতেছিল ফ্রান্স। রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালেও একই ব্যবধানে জিতেছিল তারা।
শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা ফ্রান্স এগিয়ে যায় অষ্টম মিনিটে। ডান দিক থেকে ফেরলঁদ মঁদির ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো বিপদ বাড়ান দোমাগুই ভিদা। ক্রোয়াট ডিফেন্ডারের দুর্বল শটে বল পেয়ে যান অরক্ষিত গ্রিজমান। বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের বুলেট গতির শট খুঁজে পায় ঠিকানা।
পিছিয়ে পড়ার পর যেন জেগে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। চেপে ধরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। তাদের আক্রমণের ঝাপটা সামাল দিয়ে প্রথমার্ধের শেষ দিকে আবার ভীতি ছড়ায় ফ্রান্স। ৪৫তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল সফরকারীরা। গ্রিজমানের ফ্রি কিকে ক্লেমোঁ লংলের হেড দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একের পর এক আক্রমণ করে ৬৪তম মিনিটে সুফল পায় স্বাগতিকরা। চমৎকার এক ফিনিশিংয়ে সমতা অনেন ভ্লাসিচ। ইয়োসিপ ব্রেকালোর কাছ থেকে বল পেয়ে তিন ফরাসি খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে দূরের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন তিনি।
সমতা ফেরার পর যেন গা ঝাড়া দেন ফরাসি ফরোয়ার্ডরা। লম্বা সময় রক্ষণে মনোযোগ দেওয়া ফ্রান্স যায় আক্রমণে। ৭৮তম মিনিটে আবার এগিয়ে যায় তারা।
একটু আগে মাঠে আসা পল পগবা নিজেদের অর্ধ থেকে উঁচু করে বল বাড়ান লুকাস দিনিয়েকে। প্রথম টোকায় তিনি খুঁজে নেন এমবাপেকে। সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে জাল খুঁজে নেন তরুণ এই ফরোয়ার্ড।
বাকি সময়ে সমতা ফেরানোর বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু উগো লরিসকে পরাস্ত করতে পারেনি তারা।
চার ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে ফ্রান্স। আগের রাউন্ডে তাদের বিপক্ষে ড্র করা পর্তুগাল গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে আছে শীর্ষে। দিনের অন্য ম্যাচে সুইডেনকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে তারা।
খুলনা গেজেট/এএমআর